গোবরা-রাজশাহী গামী টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস নামের ট্রেনটিতে খোদ প্রধানমন্ত্রীর নিজ জেলা গোপালগঞ্জের যাত্রীদের জন্য বরাদ্দ নেই ১ম শ্রেনীর শোভন চেয়ার এবং শোভন চেয়ার ২য় শ্রেনীর টিকিট।পাওয়া যাচ্ছে শুধু মাত্র সাধারণ টিকিট (৩য় শ্রেনী)।
গোপালগঞ্জের গোবরা থেকে রাজশাহী গামী একমাত্র ট্রেন, টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস যাত্রীদের সেবা দিয়ে আসছেন।গোপালগঞ্জ এবং রাজশাহী মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধিতে টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন।কিন্তু গোপালগঞ্জের যাত্রীগন ট্রেনের তিন শ্রেনীর সেবার মধ্যে ১ম ও ২য় শ্রেনীর সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।সরেজমিনে গিয়ে,গোপালগঞ্জ স্টেশনের কাউন্টারে টিকিট ক্রয় করতে গেলে দায়িত্বে থাকা পোটার সোহেল রানা বলেন আমরা শুধু মাত্র সাধারণ টিকিট(৩য় শ্রেনী) বিক্রি করতে পারবো।অন্য কোনো শ্রেনীর টিকিটের গোপালগঞ্জের জন্য বরাদ্দ নেই।
০৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকেলে গোপালগঞ্জ স্টেশনে গোপালগঞ্জ থেকে রাজশাহী গামী যাত্রী তাবিউল ইসলাম(৩২) বলেন, আমি ১ম শ্রেনীর শোভন চেয়ারের একটি টিকিট নিতে চেয়েছিলাম কিন্তু উনারা সাধারণ টিকিট ধরিয়ে দিছেন,উনারা বলেছেন অন্য কোনো শ্রেনীর টিকিট এই এলাকার জন্য বরাদ্দ নাই।এটা আমাদের জন্য দুঃখ আর অপমানেরও।অন্য এক যাত্রী মৌসুমি আক্তার(২৯) বলেন আমাদের গোপালগঞ্জের মানুষ কি এই ট্রেনের ১ম ও ২য় শ্রেনীর টিকিট কেনার যোগ্যতা নাই।প্রধানমন্ত্রী তো আমাদের জন্য ই এই ট্রেন দিছে।
এ বিষয়ে গোপালগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলী খান বলেন টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস ট্রেনে গোপালগঞ্জের যাত্রীদের জন্য ১ম শ্রেনীর শোভন চেয়ার ও শোভন চেয়ারের টিকিটের বরাদ্দ নেই এটি দুঃখজনক ।বিষয়টি অবশ্যই রেলমন্ত্রীকে জানাবো।
এবিষয়ে জানতে চাইলে গোপালগঞ্জ রেল স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার শ্যামল বালা বলেন,স্টেশনের টিকিট গুলো চট্টগ্রাম থেকে ছাপা হয়।কিন্তু এবার গোপালগঞ্জ স্টেশনের ১ম শ্রেনীর শোভন চেয়ার ও শোভন চেয়ার ২য় শ্রেনীর টিকিট বরাদ্দ পাওয়া যায় নাই।শুধু মাত্র সাধারন টিকিট পেয়েছি,সেগুলো বিক্রি করছি। চলতি বছরের জুন মাসের ৪ তারিখ হতে এই সমস্যাটি তৈরি হয়েছে। ১ম ও ২য় শ্রেনীর টিকিট স্টেশনে পৌঁছালে সেগুলো বিক্রি করবো।