পূর্ব সুন্দরবনে বাঘের আক্রমণে মহিষের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় ধানসাগর স্টেশনের মুর্তির খাল এলাকায় ঘটে এই ঘটনাটি। মহিষটি বাড়িতে ফিরে না আসায় খুঁজতে গিয়ে বনের মধ্যে প্রায় অর্ধেকটা খাওয়া মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন মহিষের মালিক। বাঘের আক্রমণে মৃত মহিষটি বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের বনসংলগ্ন পশ্চিম রাজাপুর গ্রামের শামছু হাওলাদারের বলে জানা গেছে।
এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে ধানসাগর স্টেশনের তুলাতলা খালে গোপনে মাছ ধরতে গিয়ে বাঘের আক্রমণে মারা যান একই গ্রামের জেলে শিপার হাওলাদার (২২)। এর মাসখানেক আগে ওই গ্রামের সোবাহান পহলানের একটি মহিষ বনে ঘাস খাওয়ার সময় বাঘের আক্রমণে মারা যায় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে এতথ্য নিশ্চিত করে ধানসাগর ইউপি সদস্য কামাল হোসেন তালুকদার জানান, বনবিভাগের উদাসীনতার কারণে বছরের পর বছর ধরে অবৈধ ভাবে সুন্দরবনের পাশের বসবাসকারী কয়েকটি পরিবারগুলো তাদের মহিষগুলো সকালে বনে ছেড়ে দেয়। আবার বিকালে ফিরিয়ে আনেন। সোমবার বিকেলে শামছু হাওলাদার তার মহিষ খুঁজতে গিয়ে বনের মধ্যে অর্ধেকটা খাওয়া অবস্থায় দেখতে পান। কিন্তু তিনি বিষয়টি গোপন রাখলেও পরে তা জানাজনি হয়ে যায়। বনবিভাগের উদাসীনতার কারণে সুন্দনবনে অবাধে মহিষ-গরু চারানোর সুযোগ পাচ্ছেন বনের পাশের বাসিন্দার। নজরদারি না থাকায় যে কেউ অবৈধভাবে সুন্দরবনে ঢুকে মাছও ধরছে।
বাঘের আক্রমণে মহিষের মৃত্যু বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের ধানসাগর স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, গত ১ অক্টোবর বন থেকে বাঘের আক্রমণে নিহত জেল শিপার হাওলাদারের মাথা উদ্ধারের পর সকলকে সতর্ক করা হয়েছে। অবৈধভাবে বনে প্রবেশ এবং গবাধি পশু বনে না পাঠানোর জন্য পরেরদিন ২ অক্টোবর বনের পাশের প্রত্যেকের বাড়ি বাড়ি নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশে উল্লেখিত সময়ের পর কেউ এধরণের কাজ করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে।