নড়াইলের কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা দুই মুক্তিযুদ্ধাকে অবমাননার অভিযোগ উঠেছে ডাঃ শারমিন সুলতানার বিরুদ্ধে। ১৯ অক্টোবর সকাল ১১ টার দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রুগী দেখার সময় এ ঘটনা ঘটে।অবমাননার শিকার বীর মুক্তিযোদ্ধারা হলেন,উপজেলার সাবেক সহকারী কমান্ডার ও বর্তমান ইলিয়াছাবাদ ইউনিয়ন কমান্ডার শেখ আতিয়ার রহমান ও জয়নগর ইউনিয়নের ঘড়িভাঙ্গা গ্রামের মান্নান শেখ বলে জানা যায়।
ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা জানান, আগের দিন আমাদের মুক্তিযোদ্ধার ওষুধের বই দেওয়ার কথা থাকলেও ডাক্তার মিটিংয়ে আছে বলে আজ আসতে বলেন। সে মতে, আজ বই আনতে ডাক্তারের রুমে গেলে আমাদের বসতে না দিয়ে বের করে দেয়। ঘটনাটি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে জানালে তিনিও কোন সমাধান দেন নি।
প্রত্যক্ষদর্শী কালিয়া পাইলট স্কুলের সহকারী শিক্ষক শরিফুল বিশ্বাস বলেন, একটা টেষ্ট করানোর বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি তাকে বের করে দেন।অতঃপর বাহিরে এসে মুক্তিযোদ্ধাদের ঘটনা শুনে চিল্লাপাল্লা করেন।অপর প্রতক্ষদর্শী বলেন তার ভাগ্নেকে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে খারাপ আচারন তিনি দেখেছেন।
এ দিকে অভিযুক্ত ডাক্তার শারমিন সুলতানার সংগে কথা হলে তিনি ভিডিও বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, প্রথমত তিনি তাঁর পরিচয় দেননি। অনেক রোগী লাইনে থাকায় আগে কারোর কাজ করলে আমাদের রোসানলে পড়তে হয়। আমি ওনাকে বসতে বলেছি।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোষ বলেন,প্রত্যক্ষদর্শীরা যেটা বলেছে ওটা উদ্দেশ্যে প্রনোদিত। এখানে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে।