নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নড়াগাতী থানার কলাবাড়ীয়া ইউনিয়নে স্কুল নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চরকান্দিপাড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা গাউছ শেখ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের কুপিয়ে জখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় হামলাকারীরা সরকার প্রদত্ত বীর নিবাস ভাংচুর ও লুটপাট করেছে বলে জানা যায়। ২৮ নভেম্বর (মঙ্গলবার) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত মুক্তিযোদ্ধাকে কালিয়া স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রদীপ্ত রায় দীপন ও নড়াগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুকান্ত সাহা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় মামলা দয়েরের প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয়রা জানান, স্কুল নির্বাচনে অভিযুক্তদের পক্ষে কাজ না করায় বীর নিবাসে হামলা করা হয়েছে। এ ঘটনার শুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে বীর নিবাস ভাংচুর ও লুটপাটকারীদের উপযুক্ত শাস্তি হওয়া দরকার বলে তারা মন্তব্য করেন। হামলার শিকার বীরমুক্তিযোদ্ধা গাউছ শেখ, তার ছেলে নান্নু শেখ, নয়ন শেখ ও পুত্রবধু নাজমা বেগম জানান, চলতি মাসের ২৭ তারিখে কলাবাড়ীয়া হাইস্কুলে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে অভিযুক্ত জলিল শেখের ছেলে অহিদুল শেখ ও ইমরান হাসান রইচ অংশগ্রহন করে দুজনই হেরে যায় এবং এ নির্বাচনে মুক্তিযোদ্ধা গাউছ শেখ ও তার ছেলেরা ইমরান হাসান রইচকে সমর্থ করে। ঘটনার দিন রইচের চাচাতভাই শাহীন মোল্যা একই এলাকায় তার বৃদ্ধ স্বজনকে ওষুধ দিতে গেলে অহিদুল শেখের লোকজন তাদের ধাওয়া করে। এ সময় তারা প্রান রক্ষার্থে মুক্তিযোদ্ধার বীরনিবাসে আশ্রয় নেয়। অতঃপর হামলাকারীরা বীর নিবাস ভংচুর ও লুটপাট করে ব্যপক ক্ষতি সাধন করে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত জাহিদুল শেখের সাথে কথা হলে বলেন, এ ঘটনায় তারা জড়িত নেই। নিজেরা ভাংচুর করে তাদের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।
এ বিষয়ে নড়াগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুকান্ত সাহা বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। এখনো কোন অভিওেযাগ পাইনি। পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
কালিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুনু সাহা বলেন, ঘটনাস্থলে সহকারী কমিশনার ভুমিকে পরিদর্শনে পাঠনো হয়েছিল। এছাড়া নড়াগাতী থানা পুলিশকে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্থ বীর নিবাস দ্রুত সংস্কার করে বসবাসের উপযোগী করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।