নড়াইলের নড়াগাতী থানার বাগুডাঙ্গা গ্রামে সিএমবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে বিরাজমান উত্তেজনায় ২জন আহত হয়েছে। ১৪ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) দুপুরে মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার সময় এ উত্তেজনার ধারাবাহিকতায় বাগুডাঙ্গা গ্রামের দীন মোহাম্মাদের ছেলে রিফাত (২২) ও জামাল শিকদার (৬০) কে দেশীয় অত্রের আঘাতে আহত করে প্রতিপক্ষরা।
আহত দু’জনকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উত্তেজনা এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ টহল অব্যাহত রয়েছে। স্থাণীয় মৃত মোকলেছ মোল্যার ছেলে কুদ্দুস মোল্যা ও প্রত্যক্ষদর্শী ফুল মিয়া মোল্যার ছেলে সুজন মোল্যাসহ অনেকে জানান, ঘটনার দিন মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া শেষ দিন ছিল। ওই স্কুলের নির্বাচনে বায়েজিদ মোল্যার ও বর্তমান চেয়ারম্যান মল্লিক মাহামুদুল ইসলামের প্যানেল মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার জন্য স্কুলে যায়।
এ সময় ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক ইবাদত হোসেনকে ফরম সংগ্রহ করে জমা দেওয়ার জন্য অকথ্য ভাষা প্রয়োগসহ চাপ সৃষ্টির অভিযোগ আসে চেয়ারম্যানের প্যানেলের নান্টু কাজী, আছাবুর কাজী, বিল্লাল কাজী ও লিপন কাজীসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এ সময় ওই স্কুলের সাবেক ছাত্র সুজন মোল্যা প্রতিবাদ করতে গেলে তাকেও হামলার জন্য উদ্ধত হয়। অতঃপর রিফাত শিকদার বাজারে আসার সময় পথরোধ করে কুপিয়ে আহত করে এবং সন্ধ্যা ৭ টার দিকে জামাল শিকদার ইউনিয়ন আ’লীগ অফিস বন্ধ করে কাজী বাড়ী মসজিদের কাছে আসলে ৪/৫ জন এলোপাতাড়ি মারধর করে মাথা ফাঁটিয়ে দেয়।
এ ঘটনার তিব্র নিন্দা ও বিচার দাবি করেছেন তারা। এ বিষয়ে ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষত ইবাদতের সাথে কথা হলে বলেন, আমার সাথে চেয়ারম্যানের প্যানেলের কেউ অকথ্য ভাষা বা চাপ প্রয়োগ করেনি। তবে তারা আমাকে অনুরোধ করেছিল বলে জানান। আহত রিফাত শিকদার বলেন, বাজার আসার পথে রোমান ও তার ভাই আরাফাত শিকদার এবং তান্নাসহ চার/পাঁচ জন দেশীয় অত্র নিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। অতঃপর স্থাণীয়রা তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। আহত জামাল শিকদার জানান, আওয়ামীলীগ অফিস বন্ধ করে বাড়ী ফেরার পথে কাজী বাড়ী মসজিদের কাছে আসলে ৪/৫ জন এলোপাতাড়ি মারধর করে মাথা ফাঁটিয়ে দেয়। তাদেরকে তিনি চিনতে পেরেছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে পহরডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মল্লিক মাহামুদুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বায়েজিদ মোল্যা তার প্রতিপক্ষ নয়। ওই স্কুলের সহ-সভাপতি হিসাবে মনোনয়ন পত্র জমাদানের শেষ দিনে ¯ু‹লে গিয়ে জানতে পারেন শিক্ষকদের তিন সদস্যের কমিটি হয়ে গেছে। কিন্তু এটা কীভাবে সম্ভব? এ বিষয়ে তিনি শিক্ষকদের সাথে কথা বলাবলি করছিলেন। অতঃপর কয়েকজন ছেলে-পেলে গিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। এছাড়া মারপিটে আহত হওয়ার বিষটিতে স্কুলের কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে তিনি জানান।
নড়াগাতী থানার ওসি তদন্ত জানান, স্কুল নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষেরে মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। পুলিশ টহল অব্যাহত আছে। কোন পক্ষ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন রা হবে।