নড়াইলের নড়াগাতী থানার খাশিয়াল গ্রামে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২ লক্ষ টাকা আত্মসাতপূর্বক মারপিট ও জোর করে বিষ খাইয়ে দেওয়া প্রেমিকা সোনালী বেগমের মৃত্যু হয়েছে।

১৬ ডিসেম্বর (শনিবার) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। জানা যায়, ১৪ ডিসেম্বর রাতে সোনালী তার প্রেমিক খাশিয়াল গ্রামের মালেক শেখের ছেলে ও কালিয়া সাব রেজিষ্ট্রী অফিসের দলিল লেখক বাদশা মিয়ার (৬০) এর বাড়ীতে গিয়ে বিয়ের জন্য চাপ দেয় নতুবা তার দেওয়া ২ লক্ষ টাকা ফেরত চায়। এরই ধারাবহিকতায় বাদশা মিয়াসহ তার স্ত্রী দুই সন্তান, ইয়াসিন ও সহিদ সোনালীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে গুরুতর আহত করে জোরপূর্বক মুখে বিষ ঢেলে রাত সাড়ে ১১টার দিকে পাশের গ্রাম টোনা সরকারী হাসপাতালে কাছে ফেলে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা ওই রাতেই সোনালীকে কালিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থা আশংকাজনক হওয়া সকালে তাকে খুলনা মেডিকেলে হস্তান্তর করে। এ দিকে ১৫ ডিসেম্বর সকালে কালিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি অবস্থায় মৃত্যু পথযাত্রী সোনালী তার ভিডিও বক্তব্যে অভিযুক্তদের নাম ও তাকে মারপিট করে বিষ খাওয়ানোর ঘটনা বলে বিচার দাবী করেন। সোনালী বেগম বলে গেছেন, প্রায় দেড় বছর আগে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে সম্পর্ক করে বিভিন্নভাবে ২ লক্ষ টাকা নিয়েছে বাদশা মিয়া। বিয়ের জন্য চাপ ও টাকা চাওয়ায় তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট ও বিষ খাইয়েছে। সোনালী বেগম লোহাগড়া উপজেলার কোটাকোল ইউনিয়নের তেলকাড়া গ্রামের মৃত চান মিয়া শেখের মেয়ে।

জানা গেছে সোনালী আগের ঘরের ১০ বছর বয়সী শিশু পুত্র আলীকে নিয়ে বড়দিয়া ভাড়া বাসায় থেকে নিয়মিত রাজমিস্ত্রির কাজ করতো। তার বড়দিয়ার বাসায়ও বাদশা মিয়া প্রায়ই আসতো বলে জানিয়েছে সোনালীর শিশু পুত্র আলী।

সোনালীর বোন মারুফা, মা লাইলি বেগম জানায় অনুমান দেড় বছর আগে বাদশা মিয়া তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে সম্পর্কে লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে সোনালীর কাছে থেকে ২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় বাদশা মিয়া। সে প্রতিনিয়ত সোনালীর বাসায় যাতায়াত করত। ঘটনার দিন বিয়ের দাবি ও টাকা আদায়ের জন্য চাপ দিলে সোনালীকে হত্যার উদ্দেশ্যে নৃশংসভাবে মারপিট করে মুখে বিষ ঢেলে দেয়। আমরা দোষীদের উপযুক্ত বিচার চাই।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত বাদশা মিয়াকে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।