মোঃ জিহাদুল ইসলাম, কালিয়া, নড়াইল
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার ইলিয়াছাবাদ ইউনিয়নের চন্ডিনগর গ্রামের এস এম রহমতুল্লাহর মাছের ঘেরে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়েছে। এতে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়। ২৭ ডিসেম্বর (বুধবার) সকাল ১১টায় এ চুরি ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিলদুড়িয়া গ্রামের মৃত ইছাক সরদারের ছেলে ওসমান সরদার (৫৫) তার ছেলে বাদল সরদার (৩৩), মৃত ওদুদ সরদারের ছেলে শরিফুল সরদার (৩৫), শহর আলী সরদার (৫০) ও শওকত সরদারসহ ৫/৬জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে কালিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নম্বর-১২। পুলিশ দুজনকে আটক করেছে। ভুক্তভোগী রহমতুল্লাহ ওই গ্রামের মৃত জিন্না সরদারের ছেলে।
ভুক্তভোগী ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১ নং আসামী ওসমান সরদারের ভাই ও অন্য ওয়ারীশদের কাছ থেকে কয়েকটি দাগে ১ একর ৪ শতক জমি ক্রয় করে মাছের ঘেরে ব্যবহার করে আসছে। কিন্তু ওসমান সরদার ওখানে তার জমি আছে বলে দাবী করে এবং বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি দেখায়। এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন উপরোক্ত আসামীরা সহ ৫/৬ জন অজ্ঞাত লোক দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মাছের ঘেরে অনধিকার প্রবেশ করে লক্ষাধিক টাকার মাছ চুরি করে নিয়ে যায়। প্রত্যক্ষ দর্শিদের খবর পেয়ে ভুক্তভোগীরা ঘটনাস্থলে গেলে প্রান নাশের হুমকী দিয়ে তারা পালিয়ে যায়। চুরি যাওয়া মাছের ক্ষতিপুরন দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।
প্রত্যক্ষদর্শি চন্ডিনগগর গ্রামের আলিম মুন্সী জানান, ঘটনার দিন জিন্নাহ সরদারের ছেলে প্রবাসী হেলাল সরদারের মাছের ঘেরের পাশে নিজস্ব জমিতে কাজ করার সময় আসামীদের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে যেতে দেখেন। পরবর্তীতে তারা ১০/১২ জন মিলে বড় জাল দিয়ে কয়েক মন মাছ ধরে নিয়ে যায়। অতঃপর মামলা হলে শরীফুল সরদার ও শহর সরদারকে পুলিশ আটক করেছে।
সার্বক্ষনিক ঘেরে কাজ করা মিকাইল শেখ জানান, ঘেরের অপর পাশে তিনি কাজ করছিলেন। লোকজনের চিৎকারে তিনি মাছ চুরির বিষয়টি জানতে পারেন।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সুভাষ রায় বলেন, গত রাতেই দুজন আসামীকে আটক করা হয়েছে। বাকীদের আটকের চেষ্টা চলছে।