মোঃ সাগর মল্লিক, ফকিরহাট:
ফকিরহাট, মোল্লাহাট ও চিতলমারী এই তিন উপজেলা নিয়ে বাগেরহাট-১ আসন। মধুমতি, ভৈরব ও চিত্রা নদীর পাড়ের এই সংসদীয় আসনটি বরাবরই আওয়ামী লীগের দূর্ভেদ্য ঘাঁটি। এই আসনে বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ হেলাল উদ্দীন নিবার্চিত হওয়ার পর থেকে প্রতিটি এলাকা পেয়েছে উন্নয়নের স্বাদ।
শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যবসা-বাণিজ্য সব কিছুতেই এসেছে আমূল পরিবর্তন। কমেছে হয়রানি, জনভোগান্তি ও দুর্নীতি। এককথায় চারদিকে অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে এই আসনে। শেখ হেলাল উদ্দীনের উন্নয়নের ছোয়ায় বদলে গেছে গোটা ফকিরহাটের চিত্র। এই সরকারের আমলে বাংলাদেশের একমাত্র স্মার্ট উপজেলা হিসেবে ফকিরহাটকে ঘোষনা করা হয়েছে। এরপর থেকে আ্যাপের মাধ্যমে বিভিন্ন সেবা পৌঁছে যাচ্ছে মানুষের দ্বোর গোড়ায়।
এক সময়ের অত্র উপজেলা ছিল অনুন্নত আর অবহেলিত। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ফকিরহাটের মানুষের জীবন-জীবিকার মান পাল্টে গেছে। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর হওয়ার পর বেড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা, সড়ক, আশ্রয়ণ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আমূল পরিবর্তন এসেছে।
ফকিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বপন দাশ বলেন, সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীনের হস্তক্ষেপে ফকিরহাটে ২২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নারী শিক্ষার্থীদের বয়ঃসন্ধিকালীন চেঞ্জরুম করা হয়েছে। আগামীতে এর সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটি ৫০শয্যায় উন্নিত করেছে। কৃষি, মৎস্য, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে অনেক পরিবর্তন এসেছে।
তিনি আরো বলেন, রাজনীতিতে প্রতিপক্ষ থাকবে, তবে তা কোনো অবস্থাতেই নৌকার অবস্থানের কাছে আসতে পারবে না। নৌকার প্রশ্নে কোনো দ্বিধা-দ্বন্দ্ব নেই। কেননা অতীতের ভোটের পরিসংখ্যান বলছে, এ আসনে সব সময় নৌকার জয় হয়েছে। এবারও এই ধারা অব্যাহত থাকবে। আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নৌকার জয় হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাগেরহাট-১ আসনে এবার ৬জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি (নৌকা), জাতীয় পার্টির মো. কামরুজ্জামান (লাঙ্গল), তৃনমূল বিএনপির মাহফুজুর রহমান (সোনালী আঁশ), বাংলাদেশ ন্যাশনাল মুভমেন্ট (বিএনএম) এর মো. মঞ্জুর হোসেন শিকদার (নোঙ্গর), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির বাসুদেব গুহ (আম), বাংলাদেশ কংগ্রেস-এর আতাউর রহমান আতিকী (ডাব) প্রতীকে নিয়ে নির্বাচনে লড়ছেন। এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৬৭ জন।
এদিকে নির্বাচন নিয়ে ফকিরহাট উপজেলার সর্বত্র হাট-বাজার, চায়ের দোকান থেকে শুরু করে পথে প্রান্তে নানা আলোচনা চলছে। নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনায় সরব নানা বয়সের ভোটাররা। তবে নির্বাচন নিয়ে নতুন প্রজন্মের ভোটারদের আগ্রহ সবচেয়ে বেশি।