সোহেল রানা বাবু,বাগেরহাট প্রতিনিধি
মোংলায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী স্বতন্ত্র প্রার্থী ইদ্রিস আলী ইজারদারের কর্মী বাহিনীর হামলায় নৌকা প্রতীকের অর্ধশত নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এছাড়া নৌকায় ভোট দেয়ায় সংখ্যালঘুদেরকে ভিটেমাটি ছাড়া করে ভারতে পাঠানোর হুমকি-ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী বাহিনীর সদস্যরা।
নির্বাচনোত্তর স্বতন্ত্র প্রার্থীর সন্ত্রাসী বাহিনী পুরো মোংলা এলাকা জুড়ে যে হামলা, ভাংচুর ও নির্যাতন সহ তান্ডবলীলা চালিয়েছেন তা বিগত কালের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছেন। এখন তারা তাদের এহেন কর্মকাণ্ড আড়াল করতে ও নৌকার নেতা-কর্মীদের উপরে এর দায়/দোষ চাপাতে নানা ধরণের অপ্রচার এবং অপচেষ্টা লিপ্ত হয়েছেন। তাই নৌকা জেতায় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর পরাজয়ের আক্রোশে তারা এখন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের জড়িয়ে ও সংখ্যালঘুদের মধ্যে বিভেদসহ সামপ্রদায়িক সম্পর্ক বিনষ্টে গত শনিবার ঢাকায় কতিপয় লোকজনকে ভাড়া করে একটি সংবাদ সম্মেলন করিয়েছেন। মুলত নৌকার নেতাদের রাজনৈতিকভাবে হয়রানী ও হেয়প্রতিপন্নের উদ্দেশ্যে তা করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও কল্পনাপ্রসূত মাত্র।
বুধবার দুপুরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে পৌর ও উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন সুন্দরবন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সুন্দরবন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কবির উদ্দিন শেখ। তিনি সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, প্রকৃতপক্ষে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইদ্রিস আলী ইজারদারের ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী এক পথসভায় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া নৌকা প্রতীক পেয়ে সুন্দরবন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়া ইকরাম ইজারদার ‘নারী নেতৃত্ব হারাম, আমরা গজবের মধ্যে আছি’ এমন সংবিধান ও আইন পরিপন্থী বক্তব্য দিয়ে সারাদেশের নারী সমাজের মর্যাদা ক্ষুন্নসহ নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হাবিবুন নাহারকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ভোট না দেওয়ার উদ্দেশ্যে ভোটারদের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেন। চেয়ারম্যান ইকরাম ইজারদারের এহেন বক্তব্যের প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার পৌরসভার সামনে ও রবিবার দিগরাজ বাজারে হাজার হাজার নারী ঝাড়ু-জুতা মিছিল এবং মানববন্ধন করেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজনের হামলা, ভাংচুর, নির্যাতন, সংখ্যালঘুদের দেশত্যাগের হুমকি ও নারী নেতৃত্ব হারাম বলে বিতর্কিত বক্তব্যের বিষয়গুলো ঢাকতে/আড়াল করতে তারা কৌশলে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে নানা প্রকার মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উপস্থাপন করা হয়। পরিশেষে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী বাহিনী হামলা, অত্যাচার, নির্যাতন ও সংখ্যালঘুদেরকে ভীতি প্রদর্শনের ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের চেয়ে প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে এ সংবাদ সম্মেলনে।
এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আঃ রহমান, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান শেখ আব্দুস সালাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনীল কুমার বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান জসিম, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ইস্রাফিল হাওলাদারসহ অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংখ্যালঘু সম্প্রাদায়ের বিপুলসংখ্যক জনগন।