1. nabadhara@gmail.com : Nabadhara : Nabadhara ADMIN
  2. bayzidnews@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  3. bayzid.bd255@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  4. mehadi.news@gmail.com : MEHADI HASAN : MEHADI HASAN
  5. jmitsolution24@gmail.com : support :
  6. mejbasupto@gmail.com : Mejba Rahman : Mejba Rahman
শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০৩ পূর্বাহ্ন

মিথ্যা মামলা ও হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

জিহাদুল ইসলাম, কালিয়া, নড়াইল
  • প্রকাশিতঃ শনিবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ১৩৭ জন নিউজটি পড়েছেন।

মোঃ জিহাদুল ইসলাম, নড়াইল

নড়াইলের লোহাগড়ায় মিথ্যা মামলা ও হয়রানি থেকে বাঁচতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী মোঃ রফিকুল ইসলাম ও তার পরিবার। শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় উপজেলার চর মঙ্গলহাটা গ্রামে তার নিজ বাড়ীতে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, আমি একজন পল্লী চিকিৎসক। বিগত ২০২০ সালে আমার একমাত্র ছেলে অনিক শেখ (৩২) এর সাথে একই উপজেলার ইতনা গ্রামের চঞ্চল মোল্যার মেয়ে রানী খাতুন (২১) এর সঙ্গে মুসলিম রীতি অনুযায়ী বিয়ে হয়। বিবাহের পর হইতে আমার ছেলের বৌ পিতার বাড়ীতে থাকতে পছন্দ করে।

 

সে আমার বা আমার স্ত্রীর সাথে কখনও ভালো ব্যবহার করে না। আমার ছেলে বেকার জীবন যাপন করে। সে কারনে দুজনের মধ্যে মাঝে মাঝে বিবাদ হতো। আমার বৌ মা রানী খাতুন ৪ বছর বিবাহের মধ্যে ০৩টি সন্তান নষ্ট করেছে। আমি ও আমার স্ত্রী অতিকষ্টে জীবন যাপন করি। আমার বেয়াই চঞ্চল মোল্যা তার মেয়েকে নিয়ে একাধিকবার আমাকে ও আমার স্ত্রী সন্তানকে চাপ প্রেয়োগ করে টাকা দাবি করেছে এবং তার মেয়েকে আমাদের সংসারে আর দিবে না বলে জানিয়ে দেয়। এ বিষয়ে ইতনা বিট অফিসার এস আই মিজান সহ মল্লিকপুর বিট অফিসার সৈয়দ আলী এস আই আকিজ সালিশ বৈঠক করেছে। সেখান থেকেও আমার বৌ মাকে তারা বাড়ীতে নিয়ে যায়। তখন বৌমা ০৩মাসের অন্তসত্বা ছিল। এরপর থেকে তাদের সাথে আমাদের পরিবারের আর কোন যোগাযোগ নেই। আমি অতি সাধারন একজন মানুষ। আমার স্ত্রী অসুস্থ এবং স্টোক করে শয্যাশায়ী। হঠাৎ করে ১৭ জানুয়ারী গভীর রাতে লোহাগড়া থানার এস আই অমিত কুমার বিশ্বাসের নেতৃত্বে একদল পুলিশ আমার বাড়িতে হানা দিয়ে আমি সহ আমার অসুস্থ স্ত্রী বীমা বেগম (৪৫) ও আমার ছেলে অনিক শেখ কে গ্রেফতার করে। অভিজানের সময় সংশিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার সাথে কোন মহিলা পুলিশ ছিল না।

 

এ সময় ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলামের সাথে মামলার বিষয় এস আই অমিত কুমার বিশ্বাসের সাথে বাক-বিতন্ডা হয়। এরপর ঐ পুলিশ কর্মকর্তা আমাদের কে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় আমাদের নিকট এস আই অমিত কুমার বিশ্বাস মামলার চুড়ান্ত প্রতিবেদন বাবদ নগদ এক লক্ষ টাকা ঘুষ দাবি করেন। এরপর আমি উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতি থেকে বাঁচার জন্য আমার ছোট শালিকা হাসিনা বেগমের মাধ্যমে ২ হাজার টাকা প্রদান করি। দাবিকৃত টাকা না পেয়ে পুলিশ কর্মকর্তা ১৮ জুনিয়ারি দুপুরের পর আমাদের আদালতে পাঠায়। বিজ্ঞ আদালত আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে জামিন মনজুর করেন। কিন্তু আমার একমাত্র সন্তান অনিকের জামিন না মঞ্জুর হওয়ায় সে বর্তমানে জেলা হাজতে রয়েছে।

 

তিনি সংবাদ সম্মেলনে আরো অভিযোগ করে বলেন, বিবাদী দেওয়া মামলাটি ৪ জানুয়ারি থানায় নথিভুক্ত হয়। আমাদের গ্রেফতার করা হয় ১৭ জনুয়ারী। অথচ পুলিশ কর্মকর্তার পি/ও ভিজিট হল ১৮ জানুয়ারী। এটা কিভাবে সম্ভব? শুধু তাই নয়, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই অমিত বিশ্বাস ঘটনাস্থলে না গিয়েই ৫ ই জানুযারী তিনি ঘটনা স্থল প্রদর্শন করেছেন মর্মে আদালতে মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করেন। এ বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধতন কর্মকর্তার সহযোগীতা কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।

এদিকে সংবাদ সম্মেলতে থাকা ওই এলাকার সাবেক মেম্বার গোলাম হায়দার মোল্যা, আইয়ুব হোসেন মোল্যা, পজু মুন্সীসহ প্রতিবেশী একাধিক মহিলারা জানান, পুলিশ তদন্ত ছাড়া মামলা রেকর্ড করেছে, অসুস্থ্য মহিলাকে মহিলা পুলিশ ছাড়া গভীর রাতে টেনে হিচড়ে থানায় নিয়ে গেছে। এটা কীভাবে সম্ভব? এ ছাড়া অনিকের স্ত্রী দীর্ঘদিন যাবৎ তার বাবার বাড়ীতে অবস্থান করছে। সন্তান নষ্ট হলে তার পিতার বাড়ী থেকেই হয়েছে। কিন্তু নিরীহ পরিবারটিকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো দুঃখ জনক। ভুক্তভোগী পরিবারের সুবিচার কামনা করেন তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved সর্বস্বত্বঃ দেশ হাসান
Design & Developed By : JM IT SOLUTION