মোঃ জিহাদুল ইসলাম, নড়াইল
নড়াইলের নড়াগাতী থানার খাশিয়াল ইউনিয়নের শুড়িগাতী গ্রামে দীর্ঘদিনের জমি সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করলো স্থাণীয় শালিসগন ও সার্ভেয়ার। ২৬ জানুয়ারী (শুক্রবার) সরেজমিনে পরিমাপ করে উভয় পক্ষের কাগজপত্র দেখে জমি বুঝিয়ে দেন তারা।
এ পরিমাপে সন্তষ্ট হয়ে সার্ভেয়ারসহ উভয় পক্ষ ও শালিস সংশ্লিষ্টরা সাদা কাগজে স্বাক্ষর করেন। পরিমাপ শেষে বিকাশ দাশের অংশের মধ্যে টোটন দাশের কোন জমি নেই বলে তারা রায় দেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ওই গ্রামের মৃত অনিমেষ দাশের ছেলে টোটন দাশ ও মৃত জিতেন্দ্র নাথ দাশের ছেলে বিকাশ দাশ ও বিপ্লব দাশের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। বহু আগে অনিমেষ দাশ ও অজিত দাশ শুড়িগাতী মৌজার ২১০ দাগের ১.৫০ একর জমি সরকারের কাছ থেকে ৯৯ বছরের বন্দবোস্ত নেয়। অনিমেষ দাশ জীবিত থাকা কালীন সিংহভাগই সরকারী ষ্ট্যাম্পে বিক্রি করিয়া দিলে ক্রয় সূত্রে ওই জমিতে অনেক বসতি গড়ে তোলে। এদিকে বিকাশ দাশ গং ও ওই দাগ থেকে ১৪ শতক জমি ক্রয় করেন তাদের থেকে। অনিমেষ দাশের মৃত্যুয়ান্তে ওই জমির আএস রেকর্ড পায় অনিমেষ ও অজিত দাশ। সেই সূত্র ধরে অনিমেষ দাশের ছেলে টোটন দাশ বিকাশ দাশ গংদের মধ্যে তাদের জমি রয়েছে বলে দাবী করেন।
এ ঘটনায় একাধিকবার স্থাণীয় শালিস হলেও কিছু মধ্যস্বত্তভোগীদের প্ররোচনায় অমীমাংসিত থেকে যায়। এরই ধরাবাহিকতায় কালিয়া ভুমি অফিসের আমীন আলী আজগর, সিনিয়র আমীন ইসমাইল মোল্যা, তকিবর রহমান ও হাবিবুর রহমানসহ আরো অনেকে জমি পরিমাপ করে শালিসগণের সামনে বলেন, বিকাশ দাশের অংশে টোটনের কোন জমি নেই বরং টোনটন দাশের কাছে বিকাশ দাশ ২.২৩ শতক জমি পাবে বলে উভয় পক্ষকে সীমানা বুঝিয়ে দেন।
শালিসগনের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জয়নগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন চৌধুরী, খাশিয়াল ও কোটাকোল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বি এম বরকতুল্লাহ ও হাসান আল মামুদ, সম্মানীয় ব্যক্তিত্ব শওকত চৌধুরী, কালিয়ার শাহিদ বিশ্বাস, আওয়ামীলীগ নেতা আলী খান, হাসনাত এ চৌধুরী, জুলফিকার আলি খান, বড়দিয়ার ঝন্টু মোল্যা, চোরখালী গ্রামের টাইগার খান, জামাল খানসহ আরো অনেকে।