শফিকুল ইসলাম সাফা, স্টাফ রিপোর্টার, চিতলমারী, বাগেরহাট
বাগেরহাটের চিতলমীরতে সূর্যমুখি চাষের মাধ্যমে বিশুদ্ধ তেল উৎপাদনে ভূমিকা রাখছেন চাষিরা। এছাড়া সূর্যমুখি তেলের ব্যাপক চাহিদা ও দাম বেশি থাকায় চাষিরা এর মাধ্যমে লাভবান হচ্ছেন। ফলে এ চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের। উপজেলার বলেশ্বর নদীর চর, ও শিবপুরসহ আশপাশের এলাকায় বাড়ছে এ ফুলের চাষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে , উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অনাবাদি জমিতে সূর্যমুখি চাষ হয়েছে। দৃষ্টি নন্দন সূর্যমুখি ফুলে নজর কাড়ছে প্রকৃতির। চোখ জুড়ানো এ দৃশ্য যেন বদলে দিয়েছে মাঠের সৌন্দর্য। উচ্চফলন শীল জাতের এ ফুল আকারে যেমন দেখতে তেমনি এর বীজ থেকে আশানুরূপ তেল পাওয়া যায় বলে চাষিরা জানান । একদিকে সূর্যমুখির বীজ থেকে তেল তৈরির পাশাপাশি এর গাছ থেকে জ্বালানি কাঠের যোগান হচ্ছে। এসব সুবিধার কারণে চাষিরা এটি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। এলাকায় ভোজ্যতেলের চাহিদা মেটাতে সূর্যমুখি চাষের মাধ্যমে বিশুদ্ধ তেল উৎপাদনে চাষিরা অবদান রাখছেন।
উপজেলার শিবপুর গ্রামের সূর্যমুখি চাষি জামাল শেখ, হাবিবুর রহমান, নিরু বেগমসহ অনেকে জানান, ধান, গম ও সবজি চাষের চেয়ে সূর্যমুখি চাষ করা অনেকটা সহজলভ্য। বিগত কয়েক বছর ধরে তারা অনাবাদি জমিতে সূর্যমুখি আবাদ করে আসছেন। সুর্য়মুখির বীজের যে তেল বাজারে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এছাড়া নিজেদের পরিবারের সারা বছরের তেল এখান থেকে ঊৎপদন হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর ভালো ফসল তুলতে পারবেন বলে তারা আশাবাদি।
উপজেলা কৃষি অফিসার সিফাত আল মারুফ জানান, এ বছর ৫০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখি চাষ করা হয়েছে। এটি চাষের জন্য কৃষি অফিস থেকে সার, বীজসহ নানা প্রকার সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এটি চাষের প্রতি চাষিরা যাতে বেশি আগ্রহী হয় সেজন্য পরামর্শ ও সব প্রকার সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়া তিনি আরো জানান, সূর্যমুখি একটি লাভজনক ফসল। এর তেল প্রতি লিটার কম করে হলেও ৪ শ, থেকে ৫ শ, টাকা লিটার বিক্রি করা হয়। এবং গুণগতভাবে এ তেল স্বাস্থ্যসম্মত।