শফিকুল ইসলাম সাফা, স্টাফ রিপোর্টার, চিতলমারী, বাগেরহাট
গবেষণার জন্য সুন্দরবনের লোনা পানির চারটি কুমিরের গায়ে স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় সুন্দর বনের নদ নদীতে। সেগুলির মধ্যে ৩টি সুন্দর বনে বিচরন করলেও বাকি একটি কুমির প্রায় ২৬দিন পর একশ’ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাতে চিতলমারীর উপজেলার কলাতলা ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকার মধূমতী নদীর পাশে রাস্তার কুমিরটি দেখা যায়।
কুমিরটি দেখতে এলাকার শতশত নারী পুরুষ ভিড় জমায়। মানুষের ভিড়ে কুমিরটি নদীতে ফিরে না যেয়ে পাশের একটি পুকুরে আশ্রয় নেয়। শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় , শতশত উৎসুক জনতা কুমিরটি দেখতে পুকুরটি ঘিরে ধরেছে।
জানাগেছে, সুন্দরবনের চারটি কুমিরের শরীরে স্যাটেলাইট ট্যাগ বসানোর পর এর তিনটি সুন্দর বনে ফিরে গেলেও একটি বহুপথ অতিক্রম করে চিতলমারীর নদ নদীও পুকুরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কুমিরের আচারণ ও গতিবিধি জানতে সম্প্রতি চারটি কুমিরের গায়ে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে সুন্দর বনে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। এর মধ্যে তিনটি সুন্দরবনের গহির জঙ্গলের মধে নদীতে চলে যায়। এর মধ্যে একটি কুমির দল ছুটে বন ছেড়ে মোংলা, বাগেরহাট, পিরোজপুর হয়ে শুক্রবার চিতলমারী সিমানায় ঢুকে পড়েছে।
এব্যাপারে চিতলমারী থানার অফিসার ইচার্জমোঃ ইকরাম হোসেন বলেন, খবর পেয়ে কুরটির নিরাপত্তার জন্য ওই স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিষয়টি বনবিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।
এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বনবিভাগের কোন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভাব হয়নি।