তুহিন আলম শার্শা (যশোর) প্রতিনিধি
কৃষকদের চাষের জমিতে সহজেই পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষে যশোরের শার্শায় খাল খনন প্রকল্পের আওতায় দুটি খাল খনন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে উপজেলা এলজিইডি। এলজিইডি নিজস্ব অর্থায়নে খাল দুটি দৃশ্যমান হওয়ায় হাসি ফুটেছে এই এলাকার হাজারও কৃষকের মুখে। খাল খনন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন হওয়ায় খাল পাড়ের এসব জমি থেকে আগামীতে বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন তারা।
সরেজমিনে তথ্য অনুসন্ধানে দেখা যায়, যশোরের শার্শা উপজেলার কন্যাদহ ব্রীজ থেকে মাকড়াবিল পর্যন্ত এবং বসতপুর বিলের মাঝ থেকে তিন কিলোমিটারের দুটি খাল খনন করা হয়েছে। কৃষকরা যেন সহজেই তাদের তিন ফসলি জমিতে এই খাল থেকে পানি নিয়ে চাষ করতে পারে এজন্য পর্যাপ্ত পানি রাখা হয়েছে এই খালে। পরবর্তীতে পরিবেশ ও মানুষের সুশীতল ছায়ার কথা চিন্তা করে এই দুই খালের চারিসাইডে ৯২০টি গাছের চারা রোপণ করা হয়।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, অতীতে খাল পাড়ের এসব শত শত বিঘা জমি থেকে ধান কেটে বাড়িতে নিয়ে আসা খুবই কষ্ট সাধ্য ছিলো। তিন ফসলের চারা রোপণের পর পরিচর্যার জন্য দিনের পর দিন বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করতে হতো। পানির জন্য এখন থেকে আর সেই অপেক্ষা করতে হবেনা। খাল খননে জমির জন্য সহজেই পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা ও খাল পাড়ে বনায়নের ব্যবস্থা করাই চরম খুশি এখানকার কৃষকরা।
শার্শা উপজেলা এলজিইডি বিভাগের শীর্ষ অফিসার এম এম মামুন হাসান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে খাল দুটি নির্জীব অবস্থায় ছিলো। পরিচর্চা ও দেখভালের অভাবে এসব খালে পানি জমতো না। ফলে এখানকার কৃষকরা তাদের তিন ফসলি জমিতে পানির অভাবে ঠিকমতো চাষাবাদ করতে পারতো না। এখন চাষিদের আর পানির অভাবে থাকতে হবেনা। কৃষকদের মুখে হাসি দেখে খাল খননের সার্থকতা প্রকাশ পেয়েছে। খাল দুটি খননের জন্য যথাক্রমে ৮২.৯৫ লক্ষ ও ২৯.৬৩ লক্ষ টাকার চুক্তি মূল্যে খনন কার্যক্রম শেষ হয়েছে।