টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের নালিতাবাড়ী, শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলায় কমপক্ষে ১১৩টি গ্রাম এবং ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় ৫০টি গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে বন্যার পানিতে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) শেরপুরের নালিতাবাড়িতে বৃদ্ধ ও নারীসহ ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া রাতে ঝিনাইগাতীতে পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে উজান থেকে ভেসে এসেছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এক ব্যক্তির মরদেহ।এখন পর্যন্ত তার পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। এছাড়া উপজেলার অভয়নগর ও নামাবাতকুচি এলাকা থেকে তিন ব্যক্তি নিখোঁজ হয়েছেন। তবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নদী দুটির বাঁধ ভেঙে পানি উপচে পড়ছে। পানির তোড়ে প্লাবিত হয়েছে পোড়াগাঁও, নয়াবিল, রামচন্দ্রকুড়া, বাঘবেড় ইউনিয়নসহ পৌরসভার গড়কান্দা ও নিচপাড়া এলাকা। চেল্লাখালী নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে নন্নী-আমবাগান সড়ক, নন্নী-মধুটিলা ইকোপার্ক সড়ক, আমবাগান-বাতকুচি সড়ক।
ঝিনাইগাতী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল আমীন বলেন, পাহাড় থেকে ভেসে আসা মরদেহটি দুর্গম এলাকার। গতকাল রাতে ওটা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি, আমাদের ফোর্স মরদেহ উদ্ধারের জন্য সকালে রওনা হয়েছে।