গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ও দেবগ্রাম ইউনিয়নের পদ্মা নদীর ভাঙ্গন প্রতিরোধে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বুধবার (০৯ অক্টোবর) বেলা ১১টায় গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের সামনে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে দৌলতদিয়া ও দেবগ্রাম ইউনিয়ন বাসীর আয়োজনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এতে দুটি ইউনিয়নের সহস্রাধিক অসহায় বাসিন্দা ও শহরের বিশিষ্টজনেরা অংশ নেন।
মানববন্ধন হতে বৃহস্পতিবারের ( ১০ অক্টোবর) মধ্যে ভাঙন কবলিত স্থানে জিওব্যাগ না ফেলা হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেয়া হয়।
মানববন্ধনে ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, গত এক সপ্তাহে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট এবং দেবগ্রামের মুন্সিপাড়া, কাউয়ালজানি,অন্তার মোড় সহ বিভিন্ন এলাকায় পদ্মা নদীর ভাঙনে অন্তত ২০ টি পরিবারের ভিটেমাটি নদীতে বিলীন হয়েছে। এছাড়া ভাঙন আতঙ্কে নিরাপদ স্হানে সরে গেছে অনেকগুলো পরিবার। কিন্তু বহু আকুতির পর অদ্যাবধি ভাঙন প্রতিরোধে সরকারের পক্ষ হতে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি।
বক্তারা বলেন, বিগত ৮/১০ বছরে ইউনিয়ন দুটির ২৩ টি মৌজা নদীগর্ভে বিরীন হয়ে গেছে। সর্বহারা হয়ে গেছেন হাজার হাজার পরিবার। অথচ বিগত আওয়ামী লীগ সরকার এ অঞ্চলের ভাঙ্গন প্রতিরোধে কোন ব্যবস্থাই গ্রহন করেনি। প্রতিটি নির্বাচনে শুধুমাত্র ধোকা দিয়ে গেছেন আওয়ামী লীগের এমপি এবং অন্যান্য নেতারা। ফলে গোয়ালন্দের মানচিত্র হতে দৌলতদিয়া এবং দেবগ্রাম ইউনিয়ন মুছে যেতে চলেছে।
অবসরপ্রাপ্ত বিডিআর সদস্য শফিকুল ইসলাম শফিকের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন দেবগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডল, গোয়ালন্দ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোশারফ আহম্মেদ , দৌলতদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মোহন মন্ডল, সিনিয়র সহ-সভাপতি ডাঃ আবুল হোসেন, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব সানোয়ার আহম্মেদ, উপজেলা ছাত্র দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মেদ আলী শিপন, পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোক্তার মাহমুদ,স্কুল শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত জামাল মুন্সি, জাহিদ সরদার প্রমুখ।
