1. nabadhara@gmail.com : Nabadhara : Nabadhara ADMIN
  2. bayzidnews@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  3. bayzid.bd255@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  4. mehadi.news@gmail.com : MEHADI HASAN : MEHADI HASAN
  5. jmitsolution24@gmail.com : support :
  6. mejbasupto@gmail.com : Mejba Rahman : Mejba Rahman
শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ০৫:২৪ পূর্বাহ্ন

ভারতের দ্বিচারিতা নিন্দনীয় ও আপত্তিকর: আসিফ নজরুল

নবধারা ডেস্ক
  • প্রকাশিতঃ শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১৭৫ জন নিউজটি পড়েছেন।

আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের অযাচিত উদ্বেগ প্রকাশ অব্যাহত রয়েছে। অথচ ভারতের নিজ ভূখণ্ডে সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ঘটে চলা অসংখ্য নির্মম ঘটনা নিয়ে তাদের কোনো লজ্জা বা অনুশোচনা দেখা যায় না। ভারতের এই দ্বিচারিতা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও আপত্তিকর।

 

আজ (শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেছেন।

 

আসিফ নজরুল লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ (৬৪ দশমিক ১ শতাংশ) মনে করছেন, অন্তর্বর্তী সরকার দেশের সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের চেয়ে বেশি নিরাপত্তা দিতে পারছে। গতকাল প্রকাশিত ভয়েস অব আমেরিকা বাংলার জরিপে এটি দেখা গেছে।’

 

‘আমরা নিজেরাও দেখেছি, ছাত্রসংগঠন, মাদ্রাসা ও রাজনৈতিক দলসহ বাংলাদেশের মানুষ সাম্প্রতিক দুর্গাপুজার সময় কীভাবে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার জন্য কাজ করেছে। সর্বশেষে চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে নির্মম ও উস্কানিমূলকভাবে হত্যার পরও বাংলাদেশের মুসলমানরা অসীম সংযম ও ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে।’— যোগ করেন আইন উপদেষ্টা।

 

তিনি লেখেন, ‘এরপরও বাংলাদেশের পরিস্থিতির ওপর ভারতের অযাচিত উদ্বেগ প্রকাশ থেমে নেই। ভারতের নিজের মাটিতে সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের উপর অসংখ্য নির্মমতার ঘটনা ঘটে চলেছে। অথচ সেটা নিয়ে তাদের সংকোচ বা অনুশোচনা নেই। ভারতের এই দ্বিচারিতা নিন্দনীয় ও আপত্তিকর।’

 

পরে বিকেলে আইন উপদেষ্টা একই প্রসঙ্গে আরেকটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেপ্তার, আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যাকাণ্ড এবং ভারতীয় অবস্থান তুলে ধরে কড়া সমালোচনা করেন আসিফ নজরুল।

 

বিবৃতি উল্লেখ করা পোস্টে তিনি লেখেন, ‘চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম ওরফে আলিফ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার ব্যক্তিরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোনোভাবেই যেন দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট না হয়, সে বিষয়ে সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।’

 

তিনি লেখেন, ‘বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে পরাজিত শক্তি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাদের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে তাদের আশ্রয় দেয়া ভারতের হিন্দুত্ববাদী শক্তি ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। বিজেপি দীর্ঘদিন ধরেই আওয়ামী লীগের সহায়তায় বাংলাদেশের সাধারণ হিন্দুদের মধ্যে হিন্দুত্ববাদী উচ্চতার জমিন তৈরি করেছে। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে তারা সেটাকে কাজে লাগিয়ে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিলে, মিথ্যাচার ছড়িয়ে দেশের মধ্যে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ও দাঙ্গা সৃষ্টি করতে চাইছে।’

 

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের পরপরই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে যে বিবৃতি পাঠানো হলো, সেটি স্বাভাবিক কূটনৈতিক কার্যক্রমের মধ্যে পড়ে না। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তিনি ভারতীয় নাগরিক নন। তার জামিন কেন দেয়া হলো না—এই প্রশ্ন পরোক্ষভাবেও অন্য কোনো রাষ্ট্র করতে পারে না। ভারতের অভ্যন্তরে সংখ্যালঘুদের যে পরিস্থিতি, তাতে অন্য দেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার কোনো নৈতিক অধিকারই বিজেপি সরকারের নেই। এসব কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্য বাংলাদেশে অস্থিরতা ও দাঙ্গার পরিবেশ সৃষ্টি করা, আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন ঘটানো এবং ভারতে বিজেপির ক্ষয়িষ্ণু অবস্থানকে পুনরুদ্ধার করা।’

 

আসিফ নজরুলের পোস্টে বলা হয়, ‘মনে রাখতে হবে, কিছু ধর্মীয় সংগঠন মানেই এই দেশের সমগ্র হিন্দু সম্প্রদায় নয়। এ দেশের হিন্দুরা বরাবরই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের পক্ষে। স্বাধীনতাযুদ্ধসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে হিন্দু জনগোষ্ঠীর লোকজনের উজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনে হিন্দু জনগোষ্ঠীরও কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য আছে। এই সংকটময় সময়ে বাংলাদেশের হিন্দু জনসমাজের, বিশেষ করে তরুণসমাজের সচেতন প্রতিনিধিদের কাছে আমাদের আহ্বান, নিজ নিজ জায়গা থেকে সব ধরনের ধর্মীয় উগ্রতা, সাম্প্রদায়িক ও ফ্যাসিবাদী প্রোপাগান্ডা ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বিবেকবান ও দায়িত্বশীল নাগরিকের ভূমিকা পালন করুন।’

 

বিবৃতিদাতারা হলেন দেবাশিস চক্রবর্তী, দীপক সুমন, খোকন দাস, প্রীতম দাস, মেঘমল্লার বসু, দ্রুবজ্যোতি হোর, সীমা দত্ত, স্নেহার্দ্রী চক্রবর্তী, জয়দীপ ভট্টাচার্য, অনিক রায়, বিথী ঘোষ, ইন্দ্রাণী ভট্টাচার্য, সজীব চক্রবর্তী, দীপংকর বর্মণ, দুর্জয় রায়, নয়ন সরকার ও সজীব কিশোর চক্রবর্তী।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved সর্বস্বত্বঃ দেশ হাসান
Design & Developed By : JM IT SOLUTION