1. nabadhara@gmail.com : Nabadhara : Nabadhara ADMIN
  2. bayzidnews@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  3. bayzid.bd255@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  4. mehadi.news@gmail.com : MEHADI HASAN : MEHADI HASAN
  5. jmitsolution24@gmail.com : support :
  6. mejbasupto@gmail.com : Mejba Rahman : Mejba Rahman
বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১১:৪৬ অপরাহ্ন

‘আ.লীগ এখনো সংখ্যালঘুদের রাজনৈতিক ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে’

নবধারা ডেস্ক
  • প্রকাশিতঃ শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ২৩১ জন নিউজটি পড়েছেন।

বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব ড. গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক বলেছেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সমস্যা মূলত রাজনৈতিক। তাই সমাধানও হতে হবে রাজনৈতিকভাবেই। আওয়ামী লীগ এখনো বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের রাজনৈতিক ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব বলেন, সংখ্যালঘু নিপীড়নের কাঠগড়ায় বাংলাদেশ। ভারত-আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন ইস্যুতে বিক্ষোভ সমাবেশ চলমান। সংখ্যালঘু নির্যাতন ইস্যুতে সারা বিশ্বে নিন্দার ঝড় বইছে। বাংলাদেশের মান মর্যাদা, সব অর্জন সংখ্যালঘু নির্যাতন ইস্যুতে ধূলিসাৎ। হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ইতিহাস পেছনে ফেলে বাংলাদেশকে জঙ্গি মৌলবাদী তকমা জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। অথচ বাংলাদেশ হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। ১৯৪৬ সালের পূর্বে বাংলায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামার তেমন কোনো নজির খুঁজে পাওয়া যায় না। রাজনৈতিক বিভাজনের কারণে ১৯৪৬ সালে কলকাতা, নোয়াখালী ও বিহারে সাম্প্রদায়িক হামলার খবর রয়েছে। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর পূর্ব পাকিস্তানে বর্তমান বাংলাদেশকে হিন্দু শূন্য করার যে পরিকল্পনা হয় তাও রাজনৈতিক কারণে। ১৯৫০ সালে জমিদারি অধিগ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গে দেশের হিন্দু জমিদাররা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় মধ্যবিত্ত হিন্দু সম্প্রদায় দেশত্যাগ করে। শত্রু সম্পত্তি অর্ডিন্যান্স জারি করার ফলে অবস্থা সম্পন্ন কৃষক শ্রেণি দেশত্যাগ শুরু করে।

ড. গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক বলেন, ১৯০৫ সালে মুসলিম সম্প্রদায় তাদের প্রতিনিধিত্ব সুনিশ্চিত করা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুণ্ন রাখার জন্য পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থার দাবি করে। ১৯১৯ সালের ভারত শাসন আইন ও ১৯৩৫ সালের শাসন সংস্কার আইনে পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থায় মুসলিমরা তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করে। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগ হওয়ার পর পাকিস্তানেও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা বহাল থাকে। কিন্তু ১৯৫৫ সালে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার দিনই হিন্দু সম্প্রদায়কে প্রতিনিধিত্ব শূন্য করার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করে। আওয়ামী লীগের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থার পরিবর্তে যৌথ নির্বাচন ব্যবস্থা মেনে নেওয়ায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় তাদের প্রতিনিধিত্ব হারায়। স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও সংখ্যালঘু সম্প্রদায় প্রতিনিধিত্ব ফিরে পায়নি।

তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সমস্যার শুরু ১৯৪৭ সালের ধর্ম ভিত্তিক ভারত ভাগ এবং নেহেরু-লিয়াকত চুক্তির মধ্য দিয়ে। ভারত ও পাকিস্তান কেউই এ সমস্যার সমাধান না করে মাইনরিটিদের রাজনৈতিক ভিকটিম বানিয়ে যার যার সুবিধা গ্রহণ করেছে এবং এখনো করছে। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর বিভিন্ন সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আমেরিকা এবং জাতিসংঘের কাছে বাংলাদেশের কৈফিয়ত দিতে হয়েছে। অথচ পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা অব্যাহত থাকলে আজ বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হতো না, প্রতিনিয়ত কৈফিয়ত দিতে হতো না। মাইনরিটি প্রতিনিধিরাই জবাব দিতে পারত।

জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সমস্যা মূলত রাজনৈতিক। তাই সমাধানও হতে হবে রাজনৈতিকভাবেই। আওয়ামী লীগ এখনো বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের রাজনৈতিক ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। অথচ পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা অব্যাহত থাকলে দেশি ও বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা হিন্দুদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে ষড়যন্ত্র করতে পারত না।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved সর্বস্বত্বঃ দেশ হাসান
Design & Developed By : JM IT SOLUTION