কোটালীপাড়া প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের বানারঝোড় গ্রামে বালু ভরাট করে সরকারি খাল (কাঁটা খাল) দখল করেছে প্রভাবশালীরা বলে অভিযোগ উঠেছে।
এই সরকারি খাল বালু ভরাট করে দখল করায় বানারঝোড় গ্রামের প্রায় ৩হাজার জনসাধারণের চলাচলের একমাত্র পথ বন্ধ হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে বানারঝোড় গ্রামের শতাধিক জনসাধারণের স্বাক্ষর সম্বিলিত একটি অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে দায়ের করেছেন।
অভিযোগসূত্রে জানাগেছে, উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের বানারঝোড় গ্রামের প্রায় ৩হাজার জনসাধারণের চলাচলের একমাত্র খালটি টুঙ্গিপাড়া উপজেলার করফা গ্রামের প্রভাবশালী নুরইসলাম শেখ ও তার ভাই সাবেক ইউপি সদস্য রফিক শেখ ক্ষমতার দাপটে সরকারি কাঁটা খালের ১ ভোল্ট সুইচ গেটের সম্মুখভাগ জোরপূর্বক বালু ভরাট করে দখল করেছে।
এ দিকে সরকারি খাল ভূমিদস্যুদের কবল থেকে দখলমুক্ত করার জন্য প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন সচেতন মহল।
বানারঝোড় গ্রামের ভুক্তভোগী শওকত মল্লিক বলেন, বানারঝোড় গ্রামবাসীর চলাচলের জন্য কোন রাস্তা নেই। বর্ষার মৌসুমে আমরা নৌকায় ও শুকনো মৌসুমে এ খালপাড় দিয়ে পায়ে হেটে চলাচল করি। কিন্তু পার্শবর্তী উপজেলার করফা গ্রামের প্রভাবশালী নুরইসলাম শেখ ও তার ভাই সাবেক ইউপি সদস্য রফিক শেখ ক্ষমতার দাপটে এই সরকারি কাঁটা খালের ১ ভোল্ট সুইচ গেটের সম্মুখভাগ জোরপূর্বক বালু ভরাট করে দখল করায় আমরা গ্রামবাসী ভোগান্তিতে পড়েছি। তাই খালটি দখলমুক্ত করে আমাদের চলাচলের পথটি সুগম করার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত টুঙ্গিপাড়া উপজেলার করফা গ্রামের নুরইসলাম শেখ বলেন, আমি কোন সরকারি খাল দখল করিনি। আমার নিজ জায়গায় বালু দিয়ে ভরাট করেছি। খাল খনন কাজে আমি কোন বাঁধা দেইনি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়েছে।
কান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তুষার মধু বলেন, বানারঝোড় গ্রামবাসীর চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এই খালটি। সরকারি ভাবে এই খালটি খনন করার জন্য ঠিকাদার কাজ শুরু করলে করফা গ্রামের নুরইসলাম শেখ ও তার ভাই সাবেক ইউপি সদস্য রফিক শেখ বাঁধা দিলে ঠিকাদার কাজ বন্ধ করে চলে যায়। বিষয়টি আমি উর্দ্বতনকর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো।
কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো: মঈনুল হক বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। সরেজমিনে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে