নিজস্ব প্রতিবেদক ,নড়াইল
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ইউপির বিএনপির একটি অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও ককটেল নিক্ষেপের অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ইতনা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান শেখ সিহানুক রহমানসহ ৬৯ জনের নাম উল্লেখ করে ১০০-১৫০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে গত ১৭(এপ্রিল)রাতে লোহাগড়া থানায় মামলা করে।
মামলা নং-২১। মামলাটি করেন ইতনা ইউনিয়নের কুমারডাঙ্গা গ্রামের শেখ রবিউল ইসলাম। মামলার এজহারে তিনি নিজে কে ইতনা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য পরিচয় দিয়েছেন।
শুক্রবার (১৮এপ্রিল)রাতে লোহাগড়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে পাপন সিকদার (৩৮) ও আবু সুপিয়ান (৪০) কে লোহাগড়া পৌর সভার কুন্দশী এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
মামলার এজহার সুত্রে জানা , গত ১৩ এপ্রিল ইতনা ইউনিয়নের কুমারডাঙ্গা বাজারে ইউনিয়ন বিএনপি’র স্থানীয় অফিসে বাদি রবিউলসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম ও ফিলিস্তিানি মুসলিমদের জন্য তহবিল এবং জনমত গড়ে তোলার বিষয়ে আলোচনা করছিল। এসময় চেয়ারম্যান শেখ সিহানুক রহমানসহ আসামিরা হাতুড়ি, ককটেল,পাইপগান, চাইনিজ কুড়াল,চাপাতি, লোহার পাইপ,এস এস পাইপ এবং অবৈধ ভাবে বিএনপির অফিসে প্রবেশ করে। অফিস কক্ষ ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে বিএনপির নেতাকর্মীদের অফিস থেকে বের করে দেয়। এসময় ফ্যাসিস্টরা “দুই একটি বিএনপি ধর,ধরে ধরে জবাই কর’ বলে স্লোগান দিতে দিতে চলে যায়।
এজহারে বাদি আরো উল্লেখ করেছে, অফিস কক্ষে সাটানো শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বাংলাদেশ জাতীয়াতাবাদী দালের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত পোস্টার টেনে ছিড়ে ফেলেন আসামীরা। এসময় বিএনপির দলীয় অফিস কক্ষ,আসবাবপত্র ভাংচুর করে আনুমানিক ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি করা হয়েছে বলেও মামলায় দাবি করেছেন বাদি।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আশিকুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার রাতে লোহাগড়া পৌরসভার কুন্দশী এলাকা থেকে ২জন কে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার (১৯এপ্রিল)দুপুরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।