1. nabadhara@gmail.com : Nabadhara : Nabadhara ADMIN
  2. bayzidnews@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  3. bayzid.bd255@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  4. mehadi.news@gmail.com : MEHADI HASAN : MEHADI HASAN
  5. jmitsolution24@gmail.com : support :
  6. mejbasupto@gmail.com : Mejba Rahman : Mejba Rahman
শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ০৭:০৪ পূর্বাহ্ন

২১ এপ্রিল গোয়ালন্দে প্রতিরোধ যুদ্ধ ও গ’নহ’ত্যা দিবস পালিত – স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ কাজ সম্পন্নের দাবী

শামীম শেখ, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)
  • প্রকাশিতঃ সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১৯৪ জন নিউজটি পড়েছেন।

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি

২১ এপ্রিল ‘গোয়ালন্দে প্রতিরোধ যুদ্ধ ও গনহত্যা দিবস’ পালিত হয়েছে।

 

এ উপলক্ষে সোমবার সম্মুখ যুদ্ধের স্হান উজানচর বাহাদুরপুর গ্রামে নির্মানাধীন স্মৃতি স্তম্ভে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শহীদদের স্মরণে স্মৃতিচারণ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

 

 

সভায় আগামীতে দিবসটি  সরকারীভাবে পালনের দাবী এবং অর্থের অভাবে বন্ধ থাকা স্মৃতিস্তম্ভ ভাষ্কর্য নির্মাণকাজ দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি জানানো হয়।

 

 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সরকারি গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ খন্দকার আব্দুল মুহিত হীরা।

 

 

গোয়ালন্দ সম্মুখযুদ্ধ ও প্রতিরোধ স্মৃতি মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য নির্মাণ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী মোঃ জুয়েল বাহাদুরের সভাপতিত্বে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন গোয়ালন্দ পৌর বিএনপি’র সভাপতি আবুল কাশেম মন্ডল, সাবেক শিক্ষা কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম, গোয়ালন্দ ঘাট থানার এসআই মো. বিল্লাল, সাংবাদিক রাশেদুল হক রায়হান প্রমুখ।

 

 

সভায় জুয়েল বাহাদুর বলেন, ১৯৭১ সালের ২১ এপ্রিল এখানকার প্রতিরোধ যুদ্ধ সম্পর্কে যাতে নতুন প্রজন্ম জানাতে পারে সে জন্য যুদ্ধস্থল বাহাদুরপুর গ্রামে ২০১৫ সাল থেকে সম্মুখযুদ্ধ ও প্রতিরোধ দিবস পালন করা হয়। ২০১৮ সালে আমার বাবা ইউসুফ আলীর দেয়া জমিতে রাজবাড়ী জেলা পরিষদ হতে দেয়া ২ লাখ টাকা ব্যায়ে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজ শুরু হয়। পুরো কাজ শেষ করতে প্রায় ২০-২২ লাখ টাকা প্রয়োজন। অর্থের অভাবে বর্তমানে নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে আছে। আমরা স্মৃতি স্তম্ভটির অবশিষ্ট কাজ শেষ করা এবং দিবসটি আগামীতে সরকারিভাবে পালনের দাবি জানাচ্ছি।

 

 

সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের ২১ এপ্রিল বুধবার ভোরে বৃষ্টির মধ্যে পাকিস্তানের সুসজ্জিত বাহিনী নদীপথে আরিচাঘাট থেকে গানবোট, কে-টাইপ ফেরি, স্পীডবোট ও হেলিকপ্টার যোগে তৎকালীন গোয়ালন্দ মহকুমার বাহাদুরপুর গ্রামে ভেড়ে। তাদের প্রতিহত করতে ইপিআর, আনসার, পুলিশ ও মুক্তিকামী ছাত্র-জনতা প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

 

যুদ্ধে আনছার কমান্ডার ফকির মহিউদ্দিন শহীদ হন। এছাড়া পাক বাহিনী ওইদিন গনহত্যা চালিয়ে ছবেদ আলী, হাবিল মন্ডল, কবি তোফাজ্জল হোসেন, জিন্দার আলী মৃধা, নায়েব আলী বেপারী, মতিয়ার রহমান, জয়নদ্দিন ফকির, কাদের মোল্লা, হামেদ শেখ, কানাই শেখ, ফুলবরু বেগম, মোলায়েম সরদার, বরুজান বিবি, আমজাদ হোসেন, মাধব বৈরাগী, আহাম্মদ আলী ম-ল, খোদেজা বেগম, করিম মোল্যা, আমোদ শেখ, কুরবান শেখ, মোকসেদ শেখ, নিশিকান্ত রায়, মাছেম শেখ, ধলাবরু বেগম, আলেয়া খাতুন, বাহেজ পাগলাসহ অনেককে হত্যা করে। জ্বালিয়ে দেয় কয়েকটি গ্রাম ও গোয়ালন্দ বাজার।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved সর্বস্বত্বঃ দেশ হাসান
Design & Developed By : JM IT SOLUTION