শামীম শেখ,গোয়ালন্দ( রাজবাড়ী)
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে জেলেদের কাছ থেকে ৫ টাকা হারে খাজনা আদায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে জেলে ও আড়ৎদাররা।
২৭ এপ্রিল রোববার সকাল ৮ টার দিকে উপজেলার দৌলতদিয়া মাছ বাজার এলাকায় এ বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ঘন্টাব্যাপী চলা এ কর্মসূচিতে কয়েক শতাধিক মৎস্যজীবি জেলে, মাছ ব্যবসায়ী ও আড়ৎদাররা অংশ নেন।
দৌলতদিয়া বাজার মৎস্য আড়ৎদারদের সভাপতি মো. মোহন মন্ডলের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জাতীয় মৎস্যজীবি জেলেদের কেন্দ্রীয় সদস্য আসলাম মোল্লা, দৌলতদিয়া মৎস্য আড়ৎদারদের সাধারন সম্পাদক মো. আনো খাঁ, মৎস্য আড়ৎদার মোঃ রেজাউল, উপজেলা মৎস্য জেলেদের সভাপতি ইছাক সরদার, সাধারন সম্পাদক অসেল বেপারী, মৎস্য ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম, মৎস্য ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী প্রমূখ।
এ সময় বক্তরা বলেন, আমরা এতদিন শতকরা ১ টাকা হারে এতদিন খাজনা দিয়ে আসছি।এখনো তাই দেব। তার বেশি দিবো না।
নতুন ইজারাদার দেওয়ান ট্রেডার্সের লোকজন শতকরা ৫ টাকা হারে জোরপূর্বক আদায় করছে বলে তারা অভিযোগ করেন।
এই নির্যাতন আমরা আর সহ্য করব না। এভাবে চলতে থাকলে আমরা এই বাজারে আর মাছ আনবো না বলে তারা হুশিয়ারি দেন।
দেওয়ান ট্রেডার্স এর পক্ষে গোয়ালন্দ উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোঃ ফারুক দেওয়ান বলেন, আমার কাছে ডিসি অফিসের যে কাগজটি রয়েছে সেটিতে উল্লেখ আছে শতকরা সর্বোচ্চ ৫ টাকা হারে খাজনা আদায় করা যাবে বলে নির্দেশনা আছে। আমরা স্থানীয় জেলেদের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি। তারা আমাদের ৩ টাকা হারে দিতে রাজি হয়। কিন্তু তারা এখন সেটিও মানছে না। তারা অযৌক্তিক ভাবে মানববন্ধন করেছেন। তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, অধিকাংশ জেলেদের জিম্মি করে রেখেছে আড়তদাররা। তারা কিন্তু ঠিকই অনৈতিকভাবে ১১ টাকা হারে আদায় করে।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাহিদুর রহমান বলেন, সরকার নির্ধারিত রেট অনুযায়ী ২ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫ টাকা হারে খাজনা আদায়ের কথা বলা রয়েছে।
সরকারি রেটের বাইরে কোন সিদ্ধান্ত উপজেলা প্রশাসন দিতে পারেনা। যদি ইজারাদার, মৎস্য ব্যবসায়ী, জেলে ও আড়তদারা মিলে কিছু টাকা কম নির্ধারণ করে তাহলে ওখানে একটি সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকবে বলে আমি মনে করি।