শামীম শেখ, গোয়ালন্দ ( রাজবাড়ী)
রাসেলস ভাইপার সাপের কামড় থেকে রক্ষার জন্য রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ১৫০ জন কৃষকের মাঝে গামবুট বিতরণ করা হয়। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বুধবার (৭ মে) দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার চর দৌলতদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে উজানচর ও দৌলতদিয়া ইউনিয়নের পদ্মা নদী তীরবর্তী কৃষকদের হাতে গামবুটগুলো তুলে দেন গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাহিদুর রহমান।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. খোকন উজ্জামান, উপজেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মনিরউজ্জামান প্রমুখ।
গামবুট নিতে আসা চাষি হোসেন আলি বলেন, নদী তীরবর্তী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে রাসেল ভাইপার সহ গোখরা সাপের উপদ্রব দেখা দিচ্ছে। গত বছর সাপের কামড়ে দুইজন মারা গেছে। এবারও গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকজন সাপের কামড়ে আক্রান্ত হয়েছেন। যে কারনে এতোদিন সাপের ভয়ে তারা ঠিক মতো ফসলি জমিতে যেতে পারেননি। এতে করে অনেকের ফসল ইতোমধ্যে ক্ষেতেই নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া শ্রমিকরাও ভয়ে ক্ষেতে নামছিল না। গামবুট পড়ে এখন নিশ্চিন্তে ক্ষেতে যেতে পারবেন বলে আশা করছি।
হামিদা বেগম বলেন, আমরা চরাঞ্চলের মানুষ। সাপের ভয়ে ঘর থেকে বের হতে পারি না। ইউএনও স্যার আমাদেরকে গামবুট দিয়েছেন। এখন গামবুট পড়ে ক্ষেতে যেতে পারবো। চলাচলেও কোনও সমস্যা হবে না। নিশ্চিন্তে ফসল ঘরে তুলে আনতে পারবো। তিনি আরও বলেন, স্বামীসহ সন্তানরা মিলে আমরা সবাই ক্ষেতে কাজ করি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনেক সময় ক্ষেতে যেতে হয়েছে। সাপের ভয়ে ধান ক্ষেত থেকে তুলতেই পারিনি এখনও। ধান ক্ষেতের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গামবুট পেয়েছি, এখন ক্ষেতে যেতে সমস্যা হবে না। তবে গামবুট বিতরনের খবর পেয়ে ছুটে এসেও না পেয়ে অনেক কৃষক-কৃষানী হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন বলে স্হানীয়রা জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাহিদুর রহমান বলেন, রাসেলস ভাইপারের ভয়ে কৃষকরা ক্ষেতে ফসল তুলতে যেতে পারছিল না। তারা আতঙ্কিত ছিলো। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ আমাদের নজর আসায় কৃষকদের কথা চিন্তা করে সাপের কামড় থেকে বাঁচাতে তাদের আজকে ১৫০ জনকে গামবুট দেয়া হয়েছে।পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ইউনিয়নের চাষিদের মাঝে গামবুট বিতরণ করা হবে।