মো.জিহাদুল ইসলাম, কালিয়া, নড়াইল
নড়াইলের নড়াগাতী থানার পুটিমারী গ্রামের পান্না বেগমের (৫০) অসামাজিক কর্মকান্ডে বাঁধা দেওয়ায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। ১৯ মে (সোমবার) সকাল ০৮ টায় পুটিমারী বাজারে এ মানববন্ধন করেন তারা। স্বামী পরিত্যাক্তা পান্না বেগম ওই গ্রামের নুরো শেখের মেয়ে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন যাবত পান্না বেগম ঢাকায় থেকে অসামাজিক কাজে লিপ্ত ছিল। বেশ কিছু দিন হলো পুটিমারী নিজ বাড়ীতে এলাকার ও বাহিরের লোক এনে অসামাজিক কর্মকান্ড করে আসছেন। স্থাণীয়রা প্রতিবাদ করলেই মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন।
বাবলু শেখ ও সুফিয়া বেগম জানান, পান্না বেগম তাদের বাড়ীতে চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে। তার মা এসে ক্ষমা চেয়ে পান্নাকে নিয়ে যায়। পরে সুফিয়া বেগমের দুই ছেলের নামে মিথ্যা ধর্ষন মামলা দিয়ে হয়রানী করে পান্না বেগম। দির্ঘদিন মামলা চলার পরে মামলাটি মিথ্যা প্রমানীত হওয়ায় তারা আদালত থেকে খালাস পায়। চলতি মাসের ৫ তারিখ রাতে নড়াগাতী থানা পুলিশ ওয়ান্টের আসামী খুঁজতে ওই বাড়ীতে গেলে পান্না বেগম দরজা খুলতে চাননি। পরবর্তীতে স্থাণীয় চৌকিদারের সহযোগীতায় খুলে একই গ্রামের ইকরাম শেখ (৩৫) নামে এক খরিদ্দারকে দেখতে পায়। জিজ্ঞাসাবাদে পান্না শিকার করে ঐ যুবক অসামাজিক কাজ করার জন্য আসে। সে ওয়ারেন্টের আসামী না হওয়ায় পুলিশ সামাজিকভাবে মিমাংসার কথা বলে চলে যায়। ওই দিন রাতে পান্না বেগম তার স্বজনদের দিয়ে ঘরের তালা ভেঙ্গে জানালা, আসবাবপত্র ভাংচুর করিয়ে ও বাহিরের বেড়ায় আগুন দিয়ে গ্রামের ইঞ্জিনিয়ার লিমন শেখ ও খালিদ হাসান নামের ২জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে আসামী করে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর লুটপাটের মামলা করেন। এ ভাবে মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে তার অসামাজিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে পান্না বেগম। এতে এলাকার যুব সমাজ ও পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে বক্তারা জানান। তার অসামাজিক কাজ ও মিথ্যা মামলায় হয়রানি বন্ধের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন বক্তারা।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, চৌকিদার আয়নাল শেখ, হেকমত আলী শিকদার, মাহফুজ মোল্যা, ইকলাজ শেখ ও নাজিম শেখ প্রমুখ।