সোহেল রানা বাবু,বাগেরহাট প্রতিনিধি
অনেক জল্পনা কল্পনা শেষে অনুষ্ঠিত হলো বাগেরহাট পৌর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন। দীর্ঘ কয়েক বছর পর সকাল ১০ টায় বাগেরহাট স্বাধীনতা উদ্যানে দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সাদা কবুতর ওড়ানো এবং আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে শেষ হয় সম্মেলনের প্রথম পর্ব।
বাগেরহাট পৌর বিএনপি’র আহ্বায়ক এসকেন্দার হোসেনের সভাপতিত্বে পৌর বিএনপি’র সদস্য সচিব সৈয়দ ওবায়দুল ইসলাম জুয়েল এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু, জেলা বিএনপির আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার এটিএম আকরাম হোসেন তালিম, সাবেক সভাপতি এম এ সালাম, সদস্য সচিব মোজাফফর রহমান আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল ইসলাম গোরা, শমসের আলী মোহন, নির্বাচন পরিচালনা টীম প্রধান ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক লায়ন ডক্টর শেখ ফরিদুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মাসুদ রানা, ব্যারিস্টার শেখ মোঃ জাকির হোসেন, মনিরুল ইসলাম খান, অধ্যাপক হাদিউজ্জামান হিরো, শেখ শাহেদ আলী রবি, এডভোকেট মিজানুর রহমান সহ বাগেরহাট জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ফকির তারিকুল ইসলাম, সিকদার হারুন আল-রশিদ, যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা। জেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি সরদার লিয়াকত আলি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম শান্ত, সদস্য সচিব ডালিম ফকির, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী সাহিদা আক্তার, সাধারণ সম্পাদক নার্গিস আক্তার ইভা, জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক নার্গিস আক্তার লুনা, জেলা তাঁতি দলের সদস্য সচিব জিল্লুর রহমান, মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক হারুন শেখ, মহিলা নেত্রী শিরিনা আক্তার, বিএনপি নেতা নিয়াজ মাহমুদ শৈবাল, শরিফ মোস্তফা জামান লিটু, আবুল কালাম আজাদ বুলু, এডভোকেট শেখ নুরুল ইসলাম প্রমূখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, বাংলাদেশে ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে বিএনপির ৬০ লক্ষ নেতা-কর্মী কারাবরণ করেছে। আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন, আজকে ফ্যাসিস্ট পতনের যে কৃতিত্ব তা কোন রাজনৈতিক দলের একক কৃতিত্ব নয়। দেশে এত গুম হত্যা নির্যাতন হয়েছে, তারপরেও আমরা প্রতিশোধ পরায়ণ হয়নি। আমরা সবাই মিলে একটি সুখী সমৃদ্ধ শক্তিশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।
সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে বেলা আড়াইটায় বাগেরহাট বহুমুখী কলেজিয়েট স্কুলে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডের মোট ৬৩৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
এ নির্বাচনে সভাপতি পদে তিনজন, সাধারণ সম্পাদক পদে তিনজন এবং দুইটি সাংগঠনিক সম্পাদক পদে চার জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সন্ধ্যা ছয়টায় ভোট শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে চলছিল।