নাইম উদ্দিন আকন,পিরোজপুর প্রতিনিধি
পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলায় প্রথম প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষায় কাঙ্ক্ষিত ফল না পাওয়ায় শিক্ষক কর্তৃক বর্বর পিটুনি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ১০ নম্বর বলদিয়া চামী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. রাসেল মাহমুদ শিক্ষার্থীদের নির্মমভাবে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ১০ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
জানা যায়, রোববার (২৫ মে) সকালে পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার পর শিক্ষক রাসেল মাহমুদ লাঠি দিয়ে শিক্ষার্থীদের বেদম মারধর করেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শিক্ষক রাসেল আকস্মিকভাবে তাদের ওপর আক্রমণ করেন, যা তাদের মনে গভীর প্রভাব ফেলেছে। পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর মা হামিদা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমার মেয়েকে গরুর মতো পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে। এটি বরদাশত করা যায় না।”
ঘটনার প্রতিবাদে সন্ধ্যায় অভিভাবক ও স্থানীয় জনগণ বিদ্যালয় মাঠে বিক্ষোভে অংশ নেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক রাসেল মাহমুদ নিজের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত জানিয়ে বলেন, “শিক্ষার্থীদের ফলাফল খারাপ হওয়ায় মনে ক্ষোভ ছিল। কিন্তু এখন বুঝতে পারছি, শিশুদের মারধর করা উচিত নয়।”
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিরিন আক্তার বলেন, “শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন প্রতিষ্ঠানে অগ্রহণযোগ্য। অভিভাবকদের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।”
নেছারাবাদ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন জানান, “শিক্ষার্থী নির্যাতনের বিষয়টি খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। সত্যতা প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এই ঘটনায় স্থানীয় জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং শিক্ষকদের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।