শফিকুল ইসলাম সাফা,চিতলমারী
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বাগেরহাটের চিতলমারীতে জমতে শুরু করেছে কোরবানির পশুর হাট। এখনও আশানুরূপ পশু হাটবাজারে আশা শুরু হয়নি।
আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই হাটগুলোতে জমজমাট বেচাকেনা শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন বিক্রেতারা।
চিতলমারী উপজেলা প্রাণিসম্পাদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে এবার এ উপজেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা ৬হাজার ৮৯০টি হলেও প্রস্তুত রয়েছে ১১হাজার ৬২০ টি পশু। যা চাহিদার তুলনায় ৪৭৩০টি অতিরিক্ত পশু অন্যন্য উপজেলায় বা জেলায় সরবরাহ করা যাবে। এসব পশু মানুষের বাসাবাড়ি ছাড়াও খামারে লালন পালন করা হচ্ছে।
জানাগেছে, চিতলমারী উপজেলায় ৪টি কোরবানির পশুর হাট রয়েছে তার মধ্যে একটি রয়েরেছ অস্থায়ী। হাটগুলোতে পশুর স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ন ও রোগনির্ণায়ের জন্য ৪টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কাজ করছে।
কোরবানির পশু ব্যাবসায়ীরা বলেন, খামারের গরুর চেয়ে বাড়িতে লালন পালন করা গরুর চাহিদা বেশী। তাই পাড়া মহল্লায় ঘুরে ঘুরে গরু দেখছি। তবে এবার দাম অনেক বেশি চাচ্ছেন খামরিরা। ফলে আগের বছর গুলোর চেয়ে এবার বেশি দামে পশু কিনতে হবে ক্রেতাদের। তবে খামারিরা জানিয়েছেন, গোখাদ্যের লাগামছাড়া দাম এবার পশুর বাজারে বড় প্রভাব পড়তে পারে।এবং লাভের পরিমাণ কমার শঙ্কায় রয়েছেন খামারিরা।এতোমধে ব্যাবসায়ী ও কোরবানি দিতে ইচ্ছুকদের মধ্যে হিসেব- নিকাশ শুরু হয়েছে। পাড়া মহল্লায় পশু ব্যাবসায়ীদের আনাগোনা ও বেড়েছে। আবার কমদামের আশায় আগ থেকে অনেকে পশুর বায়না করে রাখছেন।
চিতলমারী উপজেলা প্রানিসম্পাদ কর্মকর্তা আহমেদ ইকবাল জানান, চিতলমারীতে পশু কোরবানির জন্য এবছর চাহিদার তুলনায় ৪৭৩০টি অতিরিক্ত রয়েছে।যেহেতু এবার উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় দামও কিছুটা বেশি হবে, তবে ক্রয় ক্ষমতা বাইরে যাবেনা। আমাদের মেডিকেল টিম উপজেলার প্রতিটি পশুর হাটে কাজ করছে।