জেলা প্রতিনিধি, পিরোজপুর
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের ফলে টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে পিরোজপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।একই সাথে শহরে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। পিরোজপুরে বুধবার (২৮মে) থেকে সকাল ১০ টা থেকে শুক্রবার (৩০মে) রাত ৩ টা পর্যন্ত প্রায় ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে চরম ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ।
পিরোজপুর শহরের বলাকা ক্লাব বাসিন্দা সাদি মো. হিমেল বলেন,”বৃষ্টির কারণে রাস্তায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে আমাদের চলাচলে খুব অসুবিধা হচ্ছে। বিশেষ করে রাস্তায় পানি থাকায় রিক্সা,গাড়ি খানাখন্দে পড়ে দুর্ঘটনা শিকার হচ্ছে।
” পিরোজপুর সদর উপজেলার বলেশ্বর নদীর পারের বাসিন্দা মো. মুর্শিদ শেখ বলেন, “বৃষ্টি ও নদীর জোয়ারের কারণে নদীর পাড়ের আশেপাশের এলাকা তলিয়ে গিয়েছে। ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না ফলে অনেক সমস্যার মধ্যে রয়েছি আমরা।” এ অবস্থায় জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি রেড ক্রিসেন্টের নিজস্ব তহবিল থেকে শুকনো খাবার প্রস্তুত এবং মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া জেলায় ২৯৫টি সাইক্লোন সেন্টার ও ৬৫টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রেখেছে জেলা প্রশাসন।
বুধবার (২৮ মে) সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি পড়লেও বৃহস্পতিবার (২৯ মে) টানা বর্ষণ শুরু হয়। ফলে পিরোজপুরের সাতটি উপজেলার মধ্যে মঠবাড়িয়া উপজেলার মাঝেরচর, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, শাপলেজা, খেতাচিড়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালি, তেলিখালী, ইন্দুরকানি উপজেলার সাউথখালী চর, চরখালি, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকা দেড় থেকে দুই ফুট পানি বেড়েছে। জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলে আরও পানি বাড়তে পারে বলে এসব এলাকার মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন।
এ বিষয়ে পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান বলেন, “আমরা সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং জরুরি খাদ্য সহায়তার ব্যবস্থা আছে।”