শামীম শেখ, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে দেশের গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া ঘাটে দিয়ে পারাপার হওয়া গরুর গাড়ি হতে যে কোন ধরনের চাঁদাবাজি প্রতিহত এবং নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার নির্বিঘ্ন করতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে স্হানীয় প্রশাসন।
সোমবার (২ জুন) সকাল ১০টার দিকে এ সকল বিষয়ে সার্বিক পরিস্হিতি পরিদর্শন করতে ঘাটে আসেন রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম।
এ সময় তিনি দৌলতদিয়া ফেরিঘাট, লঞ্চঘাট ও বাস টার্মিনাল এলাকা ঘুরে সাধারণ যাত্রী ও সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেন।
সাধারণ যাত্রী ও চালকরা পুলিশ সুপারের কাছে এবারের ঈদযাত্রায় স্বস্তির বিষয়টি তুলে ধরেন।
তারা পুলিশ সুপারের কাছে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকায় চাঁদাবাজি ও ছিনতাই রোধে পুলিশের পদক্ষেপকে প্রশংসা করেন।
এ সময় জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আবু রাসেল, গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম, দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ত্রিনাথ সাহা, বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী মহা-ব্যবস্থাপক (এজিএম) মোঃ সালাহ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ‘ঈদের আগে-পরে মোট ৭ দিন নদীতে বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে। সন্ধ্যায় নদী পথে পশুবাহী ট্রলার থাকবে না। প্রত্যেকটি পশুবাহী ট্রলারে গন্তব্য স্থানের নাম লেখা থাকতে হবে। লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনও বন্ধ থাকবে। ঈদুল আজহা উপলক্ষে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। থানা পুলিশ, সাদা পোশাকে পুলিশ ও ডিবি পুলিশসহ একাধিক টিম থাকবে। এছাড়া নৌপুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ আমাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে। যাত্রীদের নিরাপত্তা স্বার্থে জেলা পুলিশ সর্বদা মাঠে থাকবে। আশা করছি সকলের ঈদযাত্রা সুখকর হবে।”
এদিকে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাহিদুর রহমান জানান, এবারের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট সকল কতৃপক্ষের সাথে সভা করে তারা সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহন করেছেন।
নৌরুটে ছোটবড় ১৭টি ফেরি ও ৩টি ঘাট প্রস্তুত রয়েছে। ঘাটগুলো দিয়ে যাত্রীবাহী বাসের সাথে পশুবাহী ট্রাকগুলো কোন অপেক্ষা ছাড়াই নির্বিঘ্নে পারাপার হচ্ছে।
পশুবাহী ট্রাকে থাকা রাখাল ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে লুজ টিকিটের নামে কোন ধরনের টাকা আদায় করা নিষেধ করে দেয়া হয়েছে। ইতিপূর্বে তাদের কাছে এ ধরনের অভিযোগ ছিল। পশুবাহী গাড়ি হতে যে কোন ধরনের বাড়তি টাকা আদায়ের বিষয়ে প্রশাসন ও পুলিশ জিরো টলারেন্সে রয়েছে বলে তিনি জানান। এ ছাড়া মাঠ পর্যায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম কাজ করবে।