জেলা প্রতিনিধি, পিরোজপুর
ভূয়া সনদপত্রের মাধ্যমে একটি কলেজে প্রভাষক পদে চাকুরি নিয়ে সরকারি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় পিরোজপুর- ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম এ আউয়াল (৬৮) ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীন (৬২) এবং কলেজটির অধ্যক্ষ ঠাকুর চাঁদ মজুমদার (৫৫) এর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার দুদকের পিরোজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন সম্রাট বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ২০১৩ সালের ২২ ডিসেম্বর ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে নিয়োগ পান পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় অবস্থিত বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মহিলা কলেজেরর দাতা সদস্য এবং এর প্রতিষ্ঠাতা ও গভানিং বডির সভাপতি আউয়াল এর স্ত্রী লায়লা পারভীন। প্রতিষ্ঠার পর কলেজটি এমপিওভূক্ত না হলেও, ২০১৮ সালে এটি সরকারিকরণ করা হয়। এরপর লায়লা পারভীন কলেজটির প্রভাষক হিসেবে নাজিরপুর সোনালী ব্যাংক শাখা হতে ৮ আগস্ট ২০১৮ থেকে ৩০ জুন ২০১৯ পর্যন্ত মোট ৩ লক্ষ ৯৫ হাজার ৪০৬ টাকা উত্তোলন করেন।
তবে নিয়োগ পরীক্ষায় লায়লা পারভীন এসএসসি, এইচএসসি ও স্নাতক পরীক্ষায় পাশের যে সকল সনদপত্র দিয়েছেন তার সবগুলোই ভূয়া। মূলত স্বামীর প্রভাব এবং কলেজের অধ্যক্ষ ঠাকুর চাদের সহযোগীতায় ভূয়া সনদপত্র দিয়ে লায়লা পারভীন কলেজটিতে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।