জেলা প্রতিনিধি, পিরোজপুর
বিশ্ব পরিবেশ দিবসের দিন পিরোজপুরের ঐতিহ্যবাহী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবহারের অনুপযোগী পরিত্যক্ত পুকুরটির পুনর্গঠন কাজ শুরু হয়েছে। এই উদ্যোগে জেলার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সচেতন নাগরিক সমাজসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, যেমন ‘পজিটিভ পিরোজপুর’ এবং ‘বিডি ক্লিন’ সহ নানা পেশার মানুষ সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।
দীর্ঘদিন ধরে পিরোজপুর জেলা জজের বাসার সামনে পড়ে থাকা এই পুকুরটি এখন মশার উৎপত্তিস্থল এবং পরিবেশ দূষণের কেন্দ্রবিন্দু রূপে পরিচিত ছিল। আজ (৫জুন) স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে এটিকে পরিচ্ছন্ন করে একটি বাসযোগ্য এবং পরিবেশ বান্ধব স্থানে রূপান্তরিত করা হয়েছে।
পুকুরটির সংস্কারের এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগে স্বশরীরে অংশ নেন পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক, কেন্দ্রীয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, “পরিবেশ রক্ষায় রাজনৈতিক পরিচয়ের গুরুত্ব নয়, বরং মানুষের জন্য কাজ করাই মুখ্য। পিরোজপুরের সৌন্দর্য রক্ষায় আমাদের সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে।”
স্থানীয় বাসিন্দা তারিক রানা চৌধুরী বলেন, “পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার পর এখন পুকুরটি ব্যবহারের উপযোগী হয়ে উঠেছে। এটি স্থানীয়দের উপকৃত করবে এবং মশাবাহিত রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমাবে।”
এদিকে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান কিন্তু কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে পুকুরটি কচুরিপানায় ভরে গেছে। তারা পুরোনো দিনের স্মৃতি মনে করে বলেন, “পুকুরের সুন্দর ঘাট ছিল। এখন সেগুলি নষ্ট হয়ে গেছে এবং পুকুরটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।”
জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আ: ছালাম বাতেন ও মিজা জহীরুল হক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “পুকুরের এই অবস্থা প্রসঙ্গে আমরা কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা ও উদাসীনতাকে দায়ী করি।”
এখন এলাকাবাসী আশা করছেন, এই নবজাগরণ প্রকল্পে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সক্রিয় হস্তক্ষেপ করবে এবং তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ উন্নত করতে কাজ করবে।