1. nabadhara@gmail.com : Nabadhara : Nabadhara ADMIN
  2. bayzidnews@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  3. bayzid.bd255@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  4. mehadi.news@gmail.com : MEHADI HASAN : MEHADI HASAN
  5. jmitsolution24@gmail.com : support :
  6. mejbasupto@gmail.com : Mejba Rahman : Mejba Rahman
শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন

যশোরের কেশবপুরের হরিহর ও বুড়িভদ্রা কচুরিপনায় ভরাট, বর্ষা মৌসুমে বন্যার আশঙ্কা

রুহুল আমিন,যশোর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিতঃ রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫
  • ৮৯ জন নিউজটি পড়েছেন।

রুহুল আমিন,যশোর প্রতিনিধি

কেশবপুর হরিহর নদ ও বুড়িভদ্রা নদীর কচুরিপনায় ভরে গেছে। গত দুই বছরেও সেই কচুরিপনা অপসারণ করা হয়নি। কচুরিপনা পরিষ্কার ও নদ-নদীর সাভাবিক পানির প্রবাহের সৃষ্টির দাবিতে গত বছর নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট ৬ দফা দাবিতে ওই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছিল। স্মারকলিপির দাবী অনুযায়ী প্রশাসনের উদ্যোগে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়ার কারণে আগামী বর্ষা মৌসুমে এলাকায় বন্যার আশঙ্কা বিরাজ করছে।

 

উপজেলার নদীর উৎস মুখ থেকে সংস্কারের মাধ্যমে হরিহর নদ ও বুড়িভদ্রা নদীতে প্রবাহ সৃষ্টি, দীর্ঘদিন জমাকৃত কচুরিপনা অপসারণ, অবৈধভাবে নদীর জায়গা দখলকারী ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, হরিহর নদ ও বুড়িভদ্রা নদীর পলি অপসারণ, ২৭ বিলের পানি অপসারণ এবং অবৈধভাবে বিলের ভূগর্ভস্থ পানির উত্তোলনকারী ঘের মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।

 

কেশবপুর পৌর শহরের উপর দিয়ে হরিহর নদ ও বুড়িভদ্রা নদী প্রবাহিত। নদী দুটি দিয়ে কেশবপুর ও মণিরামপুর উপজেলার প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রাম ও বিলের পানি নিস্কাশন হয়ে থাকে। কিন্তু বিগত দুই বছরে নদীতে কচুরিপনায় ভরাট হয়ে নদীর নাব্যতা হারিয়েছে এবং স্বাভাবিক পানি প্রবাহের বাধা সৃষ্টি হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোডের্র গাফিলতির কারনে নদী দুটি পুন:খনন না করায় এবং কচুরিপানায় ভরাট হয়ে যাওয়ায় বর্ষা মৌসুমে পানি নিস্কাশনের বাধাগ্রস্ত হওয়ার কারণে জলবদ্ধতায় পৌর এলাকার অধিকাংশ বিল গ্রাম প্লাবিত হয়ে গিয়েছিলো। যার কারণে গত বছরে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট ৬ দফা দাবিতে ওই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছিল। ওই স্মারকলিপির দাবী অনুসারে কার্যকর কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় আগামী বর্ষা মৌসুমে কেশবপুর পৌর সভা ও মণিরামপুর উপজেলা অর্ধশত গ্রাম ও বিল সমুহ প্লাবিত হয়ে যাওয়ার আশংকা বিরাজ করছে। ওপর দিকে বুড়িভদ্রা নদীর কেশবপুর টু মঙ্গলকোট ৩৫ কিলোমিটার নদী পুনঃখনন না করলে নদীর অববাহিকায় গ্রাম গুলো বন্যায় প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা বিরাজ করছে।

 

এদিকে কেশবপুর পৌর সভার হরিহর নদীর উপরে শ্রীগঞ্জ ব্রীজের নিকট থেকে ৬০০ মিটারের খোঁজাখালটি খনন না করার করেন কেশবপুর পৌর সভার ও মণিরামপুর উপজেলা প্রায় ২৬ টি গ্রামের পানি বলধালিবিল হয়ে খোঁজাখাল দিয়ে হরিহর নদে প্রবাহের বাঁধা কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

 

গত বছর নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট ৬ দফা দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছিল। সেই দাবী অনুযায়ী কোনো কার্যকর ব্যবস্থা আজও নেয়া হয়নি।

 

কেশবপুর পানি উন্নয়ন বোডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সুমন শিকদার বলেন, উপজেলার নদ নদীর পানি সভাবিক প্রবাহের ব্যবস্থা করতে নদী খননের ২য় পর্যায় হরিহর নদীর ২৫ কিলোমিটার, ডিপিবি প্রথম সংশোধিত হরিহর নদীর ৩৫ কিলোমিটার, আপার ভদ্রা ১৮.৫ কিলোমিটার ও হরি তেলিগতি ২১ কিলোমিটার নদী খনন প্রস্তব করা হয়েছে। তাছাড়া উপজেলা অভ্যন্তরে ১০ টি ছোট বড়ো নদ নদী খাল খননের পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে। এর মধ্যে পৌর সভার খোঁজাখাল, ৩০ টি ব্রীজ কালভার্টের নির্মাণ প্রস্তাব করা হয়েছে এবং এরমধ্যে হরিহর নদের ও বুড়িভদ্রা নদীর কচুরিপানা পরিষ্কার বা অপসারণ পরিকল্পনা রয়েছে। অর্থ প্রাপ্তির সাপেক্ষে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে খুব শিঘ্রই এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved সর্বস্বত্বঃ দেশ হাসান
Design & Developed By : JM IT SOLUTION