রবিউল ইসলাম,গাইবান্ধা
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তালুককানুপুর ইউনিয়নের সমসপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির ভবন নির্মানকে কেন্দ্র করে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। জমিদাতা ফজলুর রহমানেনদর অভিযোগ ১৯৯৫ সালে বিদ্যালয়টির জন্য যে দাগে জমি দেওয়া হয়েছে এখন সেই দাগে ভবন নির্মান না করে অন্য দাগে ভবন নির্মান করার পায়তারা করছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি অভিযোগও দাখিল করেছেন ভুক্তভোগি ফজলুর রহমান।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,সমসপাড়া গ্রামের মৃত নুরুল ইসলাম সরকারের ছেলে ফজলুর রহমান ১৯৯৫ সালে ১২৮৩৩ নং দলিলে সমসপাড়া কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে দাগ নং ২৬৯৭ হতে ২৬ শতক ও ৩৪৪৯ দাগ নং হতে ৭ শতক মোট ৩৩ শতক জমি দানপত্র হিসেবে দলিল করে দেয় এবং দলিলে উল্লেখ করেন যে বিদ্যালয়টির সাবেক দাগ নং ২৬৯৭ ডাঙ্গায় ২৬ শতক জমির উপর বিদ্যালয়টি স্থাপিত হবে।ফজলুর রহমানের অভিযোগ প্রধান শিক্ষক নুর আলম উল্লেখিত জমিতে বিদ্যালয় ভবন না করে বিদ্যালয়টি অন্যত্র স্থানান্তর করে সেখানে দ্বিতল ভবন নির্মান করে বর্তমান পর্যন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।বর্তমানে বিদ্যালয়টির নতুন ভবন নির্মানের জন্য সরকারি অনুদান আসলে প্রধান শিক্ষক নুর আলম ও তার ভাই ডিপটি মিয়া জোরপূর্বক সমসপাড়া মৌজার ৩৪৪৯ দাগের ১৩৬ খতিয়ানে যে ৭ শতক জমি দান করা রয়েছে সেই দাগের ৩৩ শতক জমি বেদখলের পায়তারা করে সেখানেই বিদ্যালয়ের ভবন নির্মানের চেষ্টা করছে।এতে বাধা দিতে গেলে প্রধান শিক্ষক নুর আলম ও তার ভাই ডিপটি মিয়াসহ তাদের লোকজন ফজলুর রহমানকে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেন।
ফজলুর রহমান বলেন,আমার দানকৃত জমিতে বিদ্যালয় ভবন হলে আমার কোন আপত্তি নেই কিন্তু তারা সেখানে বিদ্যালয় ভবন না করে যেখানে ৭শতক জমি বিদ্যালয়ের নামে আছে সেখানে ৩৩ শতক দেখিয়ে ভবন নির্মানের চেষ্টা করছে আমি এর প্রতিকার চাই।
প্রধান শিক্ষক নুর আলম জানান,যে জমিতে ভবন নির্মান হচ্ছে সেটি যেহেতু বিদ্যালয়ের নামেই রেকর্ডকৃত তাই এখানেই ভবন নির্মান হচ্ছে।