শামীম শেখ, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ঘরের সীমানা নিয়ে দুই সহোদর ভাইয়ের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে বসতঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
উপজেলার দৌলতদিয়া ওমর আলী মোল্লা পাড়ায় ১৭ জুন মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছোটভাই আমিরুল খানের স্ত্রী মুসলিমা খাতুন (২৫) বাদী হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন অমর আলী মোল্লা পাড়ার বাসিন্দা মৃত ইসমাইল খানের ছেলে ও ক্ষতিগ্রস্ত আমিরুল খানের বড়ভাই আতাউর খান (৫০), তার ছেলে মো. আসিফ খান (১৮ ও স্ত্রী শাহানা বেগম (৪৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে , ছয় মাস আগে অভিযুক্তরা আমিরুল খান, তার স্ত্রী মুসলিমা খাতুন এবং বয়স্ক মা’কে মারপিট করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এরপর থেকে তারা গোয়ালন্দ পৌরসভার জামতলা মাষ্টার পাড়া এলাকায় তোতার বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করছেন।
এছাড়া জমি সংক্রান্ত বিষয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে আদালতে একটি মামলাও চলছে।
ভুক্তভোগী মোসাঃ মুসলিমা খাতুন বলেন, আমার স্বামী চাকরির সুবাদে ঢাকায় থাকেন। গ্রামের নিজ বাড়িতে বমবাস করতে না পেরে ভাড়া বাসায় বসবাস করছি। এমতাবস্হায় আমরা আমাদের বাড়ীসহ জায়গা বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেই। এ খবরে ক্ষিপ্ত হয়ে বিবাদীরা মঙ্গলবার আনুমানিক বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে আমার বসত ঘরের টিনের বেড়া, দরজার তালাসহ ওয়াল ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে ভাংচুর চালিয়ে প্রায় ১ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে।
তিনি আরও বলেন, আমি লোক মারফত খবর পেয়ে বাড়িতে গিয়ে দেখি আমার ঘরের টিন, দেয়াল, দরজা ভাঙা। এ সময় বিবাদীরা আমাকে দেখা মাত্রই তেড়ে এসে বলে এই বাড়িতে আসলে তোকে খুন করে ফেলবো। উপায়ান্তর না দেখে প্রাণ বাঁচাতে আমি থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করি।
বুধবার সরেজমিন আলাপকালে অভিযুক্ত শাহানা বেগম বলেন, আমার স্বামী আতাউর খানের সাথে আমার দেবর আমিরুলের জমি নিয়ে ঝামেলা চলছে। গত বুধবার আমিরুল উপজেলায় যায় জমি বিক্রি করতে। খবর পেয়ে আমার স্বামী গিয়ে তার ভাইকে জমি বিক্রিতে বাঁধা দেন। এতে তারা আমার স্বামীকে মারধর করে। সেই রাগে তিনি বাড়িতে এসে আমার দেবরের ঘর-বাড়ি ভাঙচুর করে।
এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ ঘাট থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, বাড়িঘরে ভাংচুরের বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী নারী। ঘটনার সত্যতা অনুসন্ধান করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।