যশোর প্রতিনিধি
বিদেশ যাওয়ার জন্য চুক্তি মোতাবেক টাকা না দিয়ে উল্টো হয়রাণিতে নেমেছে যশোর শহরের ষষ্ঠীতলার এক ব্যক্তি। তিনি যশোরের স্থানীয় কয়েকজন বিএনপির পদধারী নেতার সহয়তায় জোরপূর্বক স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, জীবনাশের হুমকি দিচ্ছে ওই চক্রটি। ফলে ট্যাভেল এজেন্সিতে চাকরি করা লুৎফর রহমান এখন আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। এ ঘটনায় লুৎফর রহমান যশোর কোতয়ালি মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, যশোর সদর উপজেলার ফরিদপুর গ্রামে লুৎফর রহমান ঢাকার “মেসার্স স্মার্ট কনসালটেন্সী” নামক একটি ট্যাভেল এজেন্সীতে চাকরি করেন। এই চাকরির সুবাধে তার সাথে পরিচয় ঘটে যশোর শহরের ষষ্ঠীতলাপাড়ার কামরুল হাসানের। কামরুল হাসান তার ছেলেকে কানাডাতে পাঠানোর জন্য ওই এজেন্সির সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। পরে কামরুল হাসান তার ছেলেকে না পাঠিয়ে নিজে যাবেন বলে জানান। এ জন্য কামরুল হাসান প্রথমে এক লাখ পরে আরো এক লাখ ৯০ হাজার টাকা দেন কোম্পানিকে। এরপর কোম্পানির চুক্তি মোতাবেক বাকী টাকা না দিয়ে উল্টো টালবাহানা শুরু করেন। চুক্তি মোতাবেক কামরুল হাসান দিতে ব্যর্থ হওয়ায় কোম্পনিকে জানিয়ে দেন তিনি আর বিদেশ যাবেন না। কিন্তু এতে ক্ষ্যন্ত না হয়ে কামরুল হাসান কোম্পনির স্টাফ লুৎফর রহমানের কাছে টাকার জন্য ধর্না দিতে শুরু করেন। লুৎফর রহমান জানিয়ে দেন, টাকা কোম্পানি নিয়েছে, কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। এরপর কামরুল হাসান গত ৮ জুন যশোর সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামের বিএনপির নেতা আমির হোসেন, শাহ আলম সাগর, শাহিনুর মোড়ল, আমিন উদ্দিন, তাইজুল ইসলাম ও পার্শ্ববর্তী আলামনগর গ্রামের শহিদুল্লাহসহ আরো কয়েকজন লুৎফর রহমানের বাড়িতে গিয়ে চড়াও হন।
এসময় তারা টাকা ফেরত দেবার জন্য বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধামকি দেয়। এরপর ১১ জুন লুৎফর রহমানকে ধরে ১০০ টাকার তিনটি স্টাম্পে ধারের টাকা পাবে বলে জোর পূর্বক স্বাক্ষর করিয়ে নেন। এবং ৩০ জুনের মধ্যে ওই টাকা ফেরত দেবার জন্য সই করিয়ে নেয় ওই সব দুর্বৃত্তরা।
এদিকে উল্লেখিত ওই বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে এর আগে সরকারি স্কুলের মালামাল বিক্রির টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ রয়েছে। যে তদন্ত এখনো চলমান রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকলেও সাংগঠনিকভাবে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না বলে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝেও ক্ষোভ দেখা গেছে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার যশোর কোতয়ালি মডেল থানায় লুৎফর রহমান একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে কোতোয়ালি থানার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই জাহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগটি এখনো পর্যন্ত আমার কাছে এসে পৌছায়নি। অভিযোগটি হাতে পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।