বাবুগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি
বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনের দুই উপজেলার নদী ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে পানি সম্পদ ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের কাছে দুটি লিখিত স্মারকলিপি পেশ করেছে বরিশাল সোসাইটি। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বরিশাল সোসাইটির উপদেষ্টা এবং আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের নেতৃত্বে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপি প্রদানের সময় বরিশাল সোসাইটির আহ্বায়ক আমানুল্লাহ খান নোমান, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মো. মোসাদ্দেক বিল্লাহ, অ্যাডভোকেট ফয়জুল্লাহ ফয়েজ, এবি পার্টির বরিশাল জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ নেওয়াজ সুজন এবং সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জিএম রাব্বি উপস্থিত ছিলেন।
স্মারকলিপি প্রদান শেষে ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ সাংবাদিকদের জানান, কোরবানির ঈদের ছুটিতে তিনি সরেজমিনে বাবুগঞ্জ উপজেলার সুগন্ধা/সন্ধ্যা নদীর লঞ্চঘাট এলাকা, বরিশাল বিমান বন্দরের নিকটবর্তী এলাকা, কেদারপুর ইউনিয়ন এবং মুলাদী উপজেলার জয়ন্তী নদীর দু’পাশের গ্রামগুলো পরিদর্শন করেছেন। প্রতিনিয়ত নদী ভাঙনে এসব এলাকা বিলীন হয়ে যাচ্ছে। গ্রামবাসীদের দুর্দশা দেখে তিনি রাজধানীতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এ বিষয়ে অবহিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, “সেই প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানকে লিখিত দুটো স্মারকলিপি দিয়েছি অবিলম্বে যথাযথ ব্যবস্থা নেবার জন্য। তিনি মনোযোগ দিয়ে আমাদের কষ্টের কথা শুনেছেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা নিজ চোখে দেখতে যাবেন বলে ওয়াদা দিয়েছেন।”
এলাকাবাসী মনে করেন, প্রায় ৬-৭ কিলোমিটার এলাকায় কংক্রিটের ব্লক বসাতে পারলে তাদের জীবন ও জীবিকা রক্ষা পাবে।
ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ আরও উল্লেখ করেন, নদী ভাঙনে শুধু মাটিই বিলীন হয় না, হাজার হাজার নাগরিকের জীবনের একাংশও নদীগর্ভে হারিয়ে যায়। তিনি মনে করেন, শত শত নদীর গতিপথ ও স্রোতধারার সঠিক বিশ্লেষণ না করে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে জিও ব্যাগ ফেলে নদী শাসন প্রকল্পগুলো আশানুরূপ ফল দেয়নি। তাই বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর কাছে থাকা নদী সম্পর্কিত তথ্য-উপাত্তের সাহায্যে নদী উন্নয়ন বোর্ড/অধিদপ্তরের দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি পরিবেশ ও নদী বিষয়ক সংগঠন এবং এলাকাবাসীর সাথেও এ বিষয়ে আলোচনা করা দরকার।