হুমায়ন কবির মিরাজ, বেনাপোল
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মোঃ আফজাল হোসেন শনিবার (২১ জুন) বেনাপোল রেলস্টেশন পরিদর্শন করেছেন। বিকেল পৌনে ৩টায় তিনি রূপসী বাংলা এক্সপ্রেসে ঢাকা থেকে বেনাপোলে এসে পৌঁছান।
পরিদর্শনকালে তিনি স্টেশনের সার্বিক অবস্থা, যাত্রীসেবা, নিরাপত্তা ও পরিচ্ছন্নতা—এইসব বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়ে টিকিট কাউন্টার, প্ল্যাটফর্ম, ওয়েটিং রুম ও ওয়ার্কশপ এলাকা ঘুরে দেখেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিভিন্ন নির্দেশনাও প্রদান করেন যাত্রীসেবা মানোন্নয়নের লক্ষ্যে।
তবে তাঁর এ পরিদর্শনকে ঘিরে স্থানীয় সাংবাদিকদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, মহাপরিচালক বেনাপোল স্টেশন পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো ধরনের কথা বলেননি, এমনকি প্রশ্ন করার সুযোগও দেননি। স্থানীয় সংবাদকর্মীরা তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইলেও তিনি নির্লিপ্ত থেকে নিজস্ব টিম নিয়ে স্টেশন এলাকা ঘুরে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।
সাংবাদিকদের দাবি, তাঁরা মহাপরিচালকের কাছে বেনাপোল স্টেশনের উন্নয়ন পরিকল্পনা, নতুন ভূমি অধিগ্রহণ, ভারত-বাংলাদেশ রেল যোগাযোগ, রেলপথ সম্প্রসারণ, বরাদ্দ এবং যাত্রীসেবা নিয়ে জানতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কোনো প্রশ্নের জবাব না দিয়েই তিনি চলে যান, যা সাংবাদিকতার মৌলিক অধিকারকে উপেক্ষা করার শামিল বলে তারা মন্তব্য করেন।
বেনাপোল বন্দর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক বলেন, “এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তার এমন আচরণ কাম্য নয়। স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে যোগাযোগ না করে হঠাৎ চলে যাওয়া গণমাধ্যম ও জনগণের প্রতি অসম্মান প্রদর্শনের শামিল।”
স্থানীয়রা জানান, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও যোগাযোগে বেনাপোল রেলস্টেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের পেট্রাপোলের সঙ্গে সংযুক্ত এই স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী এবং পণ্য পরিবহন হয়ে থাকে। এমন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার উন্নয়ন বিষয়ে জনগণের জানার অধিকার রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তারা।
মহাপরিচালকের সঙ্গে এ সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের একান্ত সচিব, প্রধান প্রকৌশলী (পশ্চিম), ডিজিএম (ঢাকা ও পার্সোনেল), সিওপিএস (পশ্চিম), সিসিএস (পশ্চিম) সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা শার্শা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান জহির ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ নুরজ্জামানসহ অন্যরাও এসময় স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন।