বাকেরগঞ্জ(বরিশাল) প্রতিনিধি
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
রোববার (২২ জুন) রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এ ঘটনায় বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি জেলা বিএনপির আহবায়ক আবুল হোসেন খানের মনোনীত কমিটির পরাজয় বলে মনে করেন অন্য নেতারা।
সুত্র জানায়, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন খান ক্ষমতার অপব্যবহার করে বাকেরগঞ্জের ১৪টি ইউনিয়ন বিএনপির বিলুপ্ত কমিটি সচল করে নতুন ইউনিয়ন কমিটি ও উপজেলা বিএনপির স্থগিতকৃত কমিটি দিয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নের ওয়ার্ড কমিটি গঠন করেছেন—এমন প্রমাণ পেয়ে দল এ ব্যবস্থা নিয়েছে। তাছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের দোসরদের পুনর্বাসন করারও অভিযোগ উঠেছে।
রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বরিশাল দক্ষিণ জেলাধীন বাকেরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কমিটির বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত টিমের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি বিলুপ্ত করে ফ্যাসিস্টিবিরোধীদের নিয়ে নতুন কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হলো। চিঠিতে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব নাসির হাওলাদারকে আহ্বায়ক, সদস্য সচিব কিংবা যুগ্ম-আহ্বায়কের মত গুরুত্বপূর্ণ পদে না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অভিযোগকারী দুই বিএনপি নেতা আবদুল মালেক সিকদার ও শওকত হোসেন হাওলাদারকেও কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক এমপি আবুল হোসেন খান বলেন, কেন্দ্র থেকে নির্দেশনামূলক একটি চিঠি তাকে দেওয়ার কথা শুনেছেন। এ-সংক্রান্ত কোনো চিঠি এখন পর্যন্ত হাতে পাননি।
দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আক্তার হোসেন মেবুল বলেন, ‘আবুল-শাহিন সাংগঠনিকভাবে কোনো কমিটি করেনি। তাঁরা পকেট কমিটি করেছেন। গণতান্ত্রিকভাবে কোনো কমিটি হয়নি বাকেরগঞ্জে। দক্ষিণ জেলা বিএনপি তিন মাসের দায়িত্ব পেয়েছিল। তিন বছর পার করেও তারা একটা কমিটি করতে পারেনি।’
মেবুল আরো বলেন, ‘সাবেক এমপি আবুল হোসেন বাকেরগঞ্জে জনপ্রিয়তা হারিয়ে ফেলেছেন। তাঁরা প্রত্যেক ইউনিয়নে ফ্যাসিস্টদের স্থান দিয়েছেন। তিনি জাসদের নেতা ছিলেন, তাই বিএনপির কদর না বুঝে বাইরের লোকদের দলে ঠাঁই দিচ্ছেন। এজন্য আমরা দক্ষিণ জেলা কমিটি ভেঙে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করছি।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান এ বিষয় বলেন, বাকেরগঞ্জে আওয়ামী পুনর্বাসনের মহোৎসব চলছিল। সেখানে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কমিটি করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট দোসরদের পুনবার্সন করলে দল যে ছেড়ে দেবেনা, তার অন্যতম উদাহরণ বাকেরগঞ্জ। আগামীতে নতুন কমিটিতে আওয়ামী দোসরেরা ঠাঁই পাবে না।