1. nabadhara@gmail.com : Nabadhara : Nabadhara ADMIN
  2. bayzidnews@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  3. bayzid.bd255@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  4. mehadi.news@gmail.com : MEHADI HASAN : MEHADI HASAN
  5. jmitsolution24@gmail.com : support :
  6. mejbasupto@gmail.com : Mejba Rahman : Mejba Rahman
বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ০৮:১৮ অপরাহ্ন

গাইবান্ধায় ঝুঁকিপূর্ণ গাছের নিচে আতঙ্কে সাংবাদিক পরিবার ও ব্যবসায়ীরা, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি

রবিউল ইসলাম, গাইবান্ধা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫
  • ৪৭ জন নিউজটি পড়েছেন।

রবিউল ইসলাম, গাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা শহরের চারমাথা মোড়ে অতি পুরোনো ও ঝুঁকিপূর্ণ গাছের নিচে দীর্ঘদিন ধরে প্রাণহানির আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন যমুনা টেলিভিশন ও বাংলা ট্রিবিউনের জেলা প্রতিনিধি জিল্লুর রহমান মন্ডল পলাশ ও তার পরিবার। পাশাপাশি, বাসার সামনের ভাড়াটিয়া দোকান মালিকরাও ব্যবসা করছেন চরম ঝুঁকি নিয়ে।

 

সাংবাদিক পলাশ অভিযোগ করে জানান, প্রতিবেশী জাকিউল হক মানিকের জমিতে থাকা বিশাল মেহগনির গাছগুলো বহু বছর ধরে তাদের সীমানার দিকে হেলে পড়েছে। যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকলেও বহু চেষ্টা ও প্রশাসনে লিখিত অভিযোগ করেও প্রতিকার মেলেনি।

 

তিনি আরও জানান, গাছ মালিক মানিক মিয়া পূর্ব থেকেই প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ করছেন এবং ইচ্ছাকৃতভাবে গাছগুলো না কেটে তার পরিবারকে মৃত্যু ফাঁদে ফেলে রেখেছেন। এ বিষয়ে গত মে মাসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর আবেদন করলেও সরেজমিন তদন্ত ছাড়াই দায়সারা প্রতিবেদন দিয়েছেন ইউএনও।

 

অন্যদিকে ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলোর কারণে ভাড়াটিয়া ব্যবসায়ী মিলন মন্ডল ও মিঠুন সরকার জানান, সামান্য বৃষ্টি বা ঝড়ে গাছগুলো দুলতে থাকে, এতে তারা সর্বক্ষণ ভয়ে থাকেন। তবুও জীবিকার তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।

 

এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, গাছ মালিক মানিকের প্রভাব ও প্রশাসনের উদাসীনতায় পুরো এলাকা ঝুঁকিতে রয়েছে। তারা দ্রুত গাছগুলো অপসারণ এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 

অভিযুক্ত গাছ মালিক জাকিউল হক মানিক জমি নিয়ে মামলা চলমান থাকার অজুহাতে গাছ কাটতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তবে সাংবাদিক পলাশের দাবি, আদালতে গাছ কাটার কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই, তাই ফৌজদারি কার্যবিধির ১৩৩ ধারা অনুযায়ী প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব।

 

এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী মোহাম্মদ অনিক ইসলাম দায়সারা তদন্তের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, আদালতে মামলা চলমান থাকায় তার পক্ষে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ সম্ভব নয়।

 

স্থানীয়রা অবিলম্বে এ সমস্যা সমাধানে উর্ধ্বতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved সর্বস্বত্বঃ দেশ হাসান
Design & Developed By : JM IT SOLUTION