এম এ ফয়সাল, সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরার তালায় ৮ বছর বয়সী এক শিশুকন্যাকে পাটক্ষেতে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে মনিরুল ইসলাম (২৮) নামের এক যুবককে ঘটনার পরপরই জনতা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকেলে তালা উপজেলার নাংলা গ্রামে। শিশুটি স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। আটককৃত মনিরুল ইসলাম পার্শ্ববর্তী উথালী গ্রামের আব্দুস সামাদ গাজীর ছেলে।
শিশুটির দাদী জানান, মঙ্গলবার বিকেলে তাদের নাংলা গ্রামের বাড়িতে পার্শ্ববর্তী উথালী গ্রামের আব্দুস সামাদ গাজীর ছেলে মনিরুল গাজী (২৭) বেড়াতে আসে। সে চলে যাবার পর থেকে তাদের নাতনিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। প্রায় দুই ঘণ্টা পর শিশুটি বাড়ি ফিরে আসে এবং রাত ১০টার দিকে লোকমুখে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনা জানতে পারেন। এই ঘটনার পর শিশুটি আতঙ্কিত ও অসুস্থ হয়ে পড়ে।
উথালী গ্রামের মাসুদুর রহমান, শেখ আসাদুজ্জামান, মজিবর রহমানসহ অনেকেই জানান, মনিরুল ইসলাম গাজী একজন চিহ্নিত লম্পট। তার বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। শিশুটি সম্পর্কে মনিরুলের ভাগ্নি হওয়ায় তারা একে অপরের পরিচিত। মঙ্গলবার বিকেলে খাবার খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে শিশুটিকে বাড়ি থেকে ফুসলিয়ে নিয়ে আসে। এরপর নির্জন পাটক্ষেতে নিয়ে ওই শিশুকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় ওই পাটক্ষেতের পাশে থাকা মহিলারা বিষয়টি বুঝতে পারলে মনিরুল শিশুটিকে রেখে পালিয়ে যায়।
শিশুটির পিতা জানান, প্রায় দুই ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পর সন্ধ্যায় মেয়ে বাড়িতে আসে। রাত ১০টার দিকে জানতে পারেন যে মনিরুল এই ঘটনা ঘটিয়েছে। মনিরুল সম্পর্কে তার মেয়ের মামা।
তালা থানার ওসি মো. মাইনউদ্দিন বলেন, ধর্ষণ চেষ্টার বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর মনিরুল তার বাড়িতে এসে লুকিয়ে পড়ে। এসময় গ্রামের মানুষ তাকে ঘরের মধ্যে আটকিয়ে রাখে। এই ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ বাড়ি থেকে মনিরুলকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ধর্ষণ চেষ্টার বিষয় স্বীকার করেছে। এই ঘটনায় শিশুর পিতা বাদী হয়ে তালা থানায় একটি মামলা (৮/২৫) দায়ের করেছেন। আজ বুধবার (২৫ জুন) সকালে আটককৃত মনিরুলকে সাতক্ষীরা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।