সবিতা রায়, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
আজ ১৯ জুলাই, বাংলাদেশের বিখ্যাত ঔপন্যাসিক,নাট্যকার, ছোটগল্পকার,চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহম্মেদের আজ ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী। বাংলা কথা সাহিত্যের সংলাপপ্রধান নতুনশৈলির জনক হুমায়ূন আহম্মেদ। বিংশ শতাব্দীর অন্যতম কথা সাহিত্যিক তিনি, বিশেষ করে তরুন সমাজকে হিমুর আদলে অনুপ্রাণিত করেছেন।
তিনি ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।পিতা ফয়জুর রহমান,মাতা আয়েশা খাতুন।তার পিতা পুলিশ অফিসার ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন। ছোট বেলার নাম শামসুর রহমান,এলাকায় সবাই কাজল বলে ডাকত,পরবর্তীতে নিজেই নাম পরিবর্তন করে হুমায়ূন আহম্মেদ রাখেন। মাধ্যমিকে বগুড়া জিলা স্কুল,উচ্চমাধ্যমিক ঢাকা কলেজ, এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যাল রসায়ন বিভাগে লেখাপড়া করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই তিনি নিজ বিভাগে অধ্যাপনার চাকুরী করেন,কিন্তু সাহিত্য আর চলচ্চিত্রের নেশা তাকে এমনভাবে পেয়ে বসেছিল চাকুরী ছেড়ে দিয়ে সাহিত্য ও চলচ্চিত্র নিয়ে কাজ করেছেন কিছুদিন পরেই।
নন্দিত নরকে, লীলাবতী, কবি,শঙ্খনীল কারাগার,সাজঘর, দূরে কোথাও,বহুব্রীহি,এইসব দিন রাত্রি,বাসর,দারুচিনি দ্বীপ,শ্রাবন মেঘের দিন,মেঘ বলেছে যাব যাব,প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। আগুনের পরশমনি,শ্যামল ছায়া , দুই দুয়ারী,চন্দ্র কথা, শঙখনীল কারাগার অনবদ্য চলচ্চিত্র। বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহম্মেদ তাঁর কাজের স্বীকৃতি পেয়েছেন। ১৯৮১ সালে বাংলা একাডেমী পুরষ্কার, শিশু একাডেমী পুরষ্কার, ১৮৯৪ সালে একুশে পদক,শ্রেষ্ঠ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার,মাইকেল মধুসূদন পুরষ্কার,হুমায়ূন কাদির স্মৃতিপুরষ্কার,জয়নুল আবেদীন স্বর্ণপদক পান।
১৮৭৩ সালে গুলতেকীনের সাথে ঘর বাঁধেন,সেখানে তাঁর চারটি সন্তান রয়েছে। পরবর্তীতে ১৯০৫ সালে মেহের আফরোজ শাওনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন,সেখানে দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে। দীর্ঘদিন ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন হিমুভাবাদর্শের ঔপন্যাসিক।১৯১২ সালের ১৯ জুলাই নিউইয়র্কে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তী জাদুকরী লেখক হুমায়ূন আহম্মেদ। গাজিপুরের নুহাশ পল্লীতে চিরনিদ্রায় সায়িত আছেন তিনি। আজ ও যেন বৃষ্টি এলে সবুজ প্রকৃতি গেয়ে ওঠে “যদি মন কাঁদে তুমি চলে এসো এক বরষায়”।
হুমায়ূন আহম্মেদ এর মৃত্যুবার্ষিকীতে নবধারা পরিবার তাকে জানায় বিনম্র শ্রদ্ধা ।
