মোঃ জিহাদুল ইসলাম, নড়াইলঃ
নড়াইলের কালিয়ায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় খাশিয়াল ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান খান রাসেল সুইট (৫০) সহ দু’জন নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে উপজেলার নড়াগাতী থানার শিবানন্দপুর সরকারী প্রাইমারী স্কুল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ সময় চেয়ারম্যানের সফরসঙ্গী মাওলানা ওলিউল্লাহ ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। নিহত অপর ব্যক্তি বড়দিয়া মুন্সী মানিক মিয়া ডিগ্রী কলেজের নিরাপত্তা প্রহরী ও থানার টোনা গ্রামের মৃত বলাই সরদারের ছেলে শওকত সরদার (৬০)।
মাওলানা ওলিউল্লাহসহ নিহতদের স্বজনেরা জানান, নতুন প্রাইভেটকার কিনে চেয়ারম্যান খান রাসেল সুইট নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনার আগে বুধবার রাত ৯ টার দিকে তার নিজ বাড়ি নড়াগাতী থানার শুড়িগাতি থেকে প্রাইভেটকার নিয়ে বের হন। তার দুই সফরসঙ্গীকে টোনা চৌরাস্তা থেকে গাড়িতে তোলেন। কিছুদুর গাড়ি চালানোর পর নিজ বাড়িতে ফেরার সময় শিবানন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় মোড়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের ডোবায় পানির নিচে প্রাইভেটকারটি তলিয়ে যায়। দুর্ঘটনায় আকস্মিক ভাবে বেঁচে যাওয়া ওলিউল্লাহ গাড়ির জানালা দিয়ে বের হয়ে চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন এসে দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া বিরাজ করছে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক পুত্র ও এক কণ্যা সন্তান রেখে গেছেন।
এদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে লাশ ময়না তদন্তের নির্দেশনা আসায় মৃতের পরিবার ও স্বজনদের এবং এলাকাবাসীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। মৃতের স্বজনরা বলেন, চেয়ারম্যান নিজের গাড়ী নিজে চালাচ্ছিলেন এবং নিয়ন্ত্রন হারিয়ে দুর্ঘটনাটা ঘটেছে। এ বিষয়ে আমাদের কোন অভিযোগ নেই। আমরা লাশ কাটাছেড়া করতে চাইনা। কিন্তু প্রশাসন কেন আমাদের লাশটি ময়না তদন্ত করছে এর হেতু কি?
এ বিষয়ে নড়াগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রোকসানা খাতুন নবধারা কে বলেন, যেহেতু নিহতরা সমাজের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। এ কারণেই তাদের আইনগত প্রক্রিয়ায়গুলি সম্পন্ন করে দিলাম।