Nabadhara
ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৩ মে ২০২১
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইতিহাস
  5. কৃষি
  6. খুলনা বিভাগ
  7. খেলাধুলা
  8. চট্টগ্রাম বিভাগ
  9. জাতীয়
  10. জেলার সংবাদ
  11. ঢাকা বিভাগ
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. প্রধান সংবাদ
  15. ফিচার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

স্বরূপকা‌ঠি‌তে পশু জবাইয়ে প্রশাসনের নজরদারী নেই

MEHADI HASAN
মে ১৩, ২০২১ ১:২৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ,স্বরূপকা‌ঠি‌ প্রতিনিধিঃ

ছবিঃ প্রতীকী

আ‌মি ২৫ বছর ধ‌রে মাংস বিক্র‌য়ের কাজ করি।আমি কো‌নো‌দিন দে‌খিনি উপ‌জেলা থে‌কে কো‌নো ডাক্তার এ‌সে জ‌বাইয়ের জন্য আনা গরু বা ছাগল রোগমুক্ত কিনা তা টেস্ট ক‌রে‌ছে।আমা‌দের‌কে স্বরূপকা‌ঠি উপ‌জেলা অ‌ফি‌স থে‌কে নি‌র্দেশনা দেয়া আ‌ছে গরু বা ছাগল জ‌বাইয়ের ২৪ ঘন্টা পূ‌র্বে টেস্ট করা‌নোর জন্য।কিন্ত এক‌টি গরু নি‌য়ে সন্ধা নদী পার হ‌য়ে উপ‌জেলা প্রানী সম্পদ অ‌ফি‌সে যে‌তে আস‌তে প্রায় ৫শত টাকা খরচ হয়। কিন্ত দেখা যায় এটাকা একটা গরুর মাংশ বি‌ক্রি ক‌রে অ‌নেক সময় আমরা মুনাফাও কর‌তে পা‌রিনা।এসব কার‌নেই পশু নি‌য়ে প্রানী সম্পদ অ‌ফি‌সে যাওয়া হয়না।কথাগু‌লো বল‌ছি‌লেন স্বরূপকা‌ঠির সন্ধা নদীর প‌শ্চিম পা‌ড়ের মাংস বি‌ক্রেতা খাইরুল।তি‌নি আ‌রো ব‌লেন বর্তমা‌নে হুজুর দিয়ে কো‌নো পশু জ‌বাই করা হয়না।অজু ক‌রে আল্লাহু আকবার ব‌লে নি‌জেরাই পশু জবাই ক‌রি।

সন্ধা নদী বি‌ধৌত স্বরুপকা‌ঠির প‌শ্চিম পা‌ড়ে ৯ জন গরুর মাংস ও ৪ জন ছাগ‌লের মাংস বি‌ক্রেতা র‌য়েছে। এছারা নদীর পূর্ব পা‌ড়ে উপ‌জেলা অ‌ফিস ও থানা সংলগ্ন এলাকায় ৬ জন গরুর মাংস এবং ২ জন লাই‌সেন্সকৃত ছাগ‌লের মাংস বি‌ক্রেতা র‌য়ে‌ছে।এ‌দের সা‌থে কথা ব‌লে জানা যায় স্বরূপকা‌ঠি প্র‌তি‌দিন গ‌ড়ে ১০/১২ টি গরু ও ৫/৬ টি ছাগ‌লের মাংস বি‌ক্রি হয়।মাংস বিক্রয় ও প্র‌ক্রিয়াজাতকরন বি‌ধিমালা ২০১১ আই‌নে এসব গরু ও ছা‌গল জবাই করার পূ‌র্বে উপ‌জেলা প্রানী সম্পদ অ‌ফি‌সের ডাক্তার দি‌য়ে পশু রোগাক্রান্ত বা গর্বাবস্থায় কিনা তা প‌রীক্ষা করার কথা থাক‌লেও কো‌নো‌দিনই এ নিয়ম পালন হয়‌নি ব‌লে জানান একা‌ধিক মাংস বিক্রেতা।
মাংস বি‌ক্রেতা রু‌বেল ব‌লেন ঈদ উপল‌ক্ষে স্বরূপকা‌ঠি‌তে প্রায় ৩শত গরু ও ২০/২৫ টি ছাগলের মাং‌সের চা‌হিদা থা‌কে। এর কোনোটিই কখনই  জবাইয়ের পূ‌র্বে বা প‌রে পরীক্ষা করা হয়না।
ত‌বে উপ‌জেলা প্রানী সম্পদ অ‌ফিসার ডাঃ মোঃ শওকত আলী ব‌লেন পূ‌র্বে কি হ‌য়ে‌ছে জা‌নিনা। ত‌বে আ‌মি এখা‌নে যোগদা‌নের পর মাংস বি‌ক্রেতা‌দের নি‌য়ে একা‌ধিকবার ওয়ার্কস‌পের আ‌য়োজন ক‌রে‌ছি।ওয়ার্কস‌পে তা‌দের‌কে বি‌ভিন্ন ধর‌নের ধারনা দেয়া হ‌য়ে‌ছে। এসময় বার বার তা‌দের‌কে পশু জবাই‌য়ের আ‌গে অ‌ফিস থে‌কে রোগমুক্ত ছারপত্র নেয়ার জন্য বলা হ‌য়ে‌ছে।ক‌য়েক‌টি পশু নি‌য়ে ক‌য়েক‌দিনই ক‌য়েকজ‌ন ছাড়পত্র নিয়ে‌ছে। কিন্ত এর পর আর কেহ আ‌সেনা।ত‌বে নদীর প‌শ্চিম পা‌ড়ের মিয়ারহাট ও ইন্দুরহাট থে‌কে কেহই আ‌সে‌না।এ কর্মকর্তা আ‌রো ব‌লেন, অ‌ফি‌সে লোক সল্পতা ও যাতায়াত সমস্যার কার‌নে জব‌হের জন্য আনা পশু যাচাই করা হয়না।ত‌বে কেহ নি‌য়ে আস‌লে আমরা বিনা ফি‌তে তা পরীক্ষা ক‌রে ছারপত্র দেই।
এ‌দি‌কে একা‌ধিক মাংস ক্রেতা অ‌ভি‌যোগ ক‌রেন এ অঞ্চ‌লে ভোক্তা‌দের‌কে মাংস ওজ‌নে ঠিক ভা‌বে দেয়া হয়না।এমন‌কি রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল এখা‌নে জ‌বেহ করা অ‌নেকটাই ও‌পেন সি‌ক্রেট।
এ ব্যাপা‌রে মাংস বি‌ক্রেতা রু‌বেল ব‌লেন, যারা ডি‌জিটাল পালা ব্যবহার ক‌রেনা তা‌দের ওজ‌নে কিছুটা তারতম্য হ‌তে পা‌রে। ত‌বে রোগাক্রান্ত গরু মিয়ারহা‌টে জবাই করা হয়না।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।