মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ,স্বরূপকাঠি প্রতিনিধিঃ
বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার দেয়া ঘরের পিলারে ফাটল ধরেছে স্বরূপকাঠিতে। সরজমিনে সুটিয়াকাঠি ইউপির বালিহারী গ্রামে দেখা যায় ২৬ টি টিন শেড বিল্ডিংয়ের ৮/১০ টি বিল্ডিংয়ের পিলারে ফাটল ধরেছে।
এমন কি লোহার জানালা খুলে পড়ে গেছে। উপরে টিন বসানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে খুবই নিম্ন মানের কাঠ যা তিন মাসের মধ্যেই বাকা হয়ে নষ্ট হওয়ার পর্যায়ে চলে গেছে। অনেকগুলো ঘরের সামনে থাকা সিড়ি রয়েছে ভাঙ্গা অবস্থায়।
১২ নম্বর ঘরে থাকা মোঃ কবির হোসেন জানান, “প্রায় দের মাস পূর্বে আমি ৫ সদস্যের পরিবার নিয়ে এখানে আসি। আমার ঘরের উত্তর পার্শের পিলার ফেটে প্রায় ১ সুতা ফাকা হয়ে আছে।”
৯ নং ঘরের বরাদ্ধ পাওয়া ইউসুফের মা রাশিদা বেগম জানান, “আমার ঘরের মেঝে ফেটে গেছে।”
১৬ নম্বর মোঃ আজিজুল হক জানান, “ঘরের মধ্যে আমি নিজের খরচায় আড়া দেই এরা টিনের নিচে যে রুয়া দিয়েছে তাও খুব নিম্ন মানের।২৬ টি ঘর ঘুরে দেখা যায় ১৫ নম্বর ঘরের দক্ষিন পার্শের জানালা ভেঙ্গে পরে আছে।”
১,৩,৫,১৩,১৬,১৭,১৮,১৯,২০,২২,২৩ ও২৬ নম্বর ঘরের একটি করে পিলার চতুর্দিকে ফেটে গেছে। এছাড়া ৩,৬,২০ ও ২৩ নম্বর ঘরের সামনে থাকা সিড়ি অন্যত্র সরে গেছে। ২২ নম্বর ঘরের ফ্লোড়ের মধ্যে ধরেছে ফাটল। ১৯ ফিট ৬ ইঞ্চি আর ২১ ফুট ৬ ইঞ্চি ব্যসার্ধের প্রতিটি ঘর বাবদ বরাদ্ধ ১৭১ হাজার টাকা।
স্বরূপকাঠি উপজেলা গৃহ বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মানস মন্ডল নবধারাকে জানান, “আমাদের তত্ত্বাবধানেই ঘরগুলো তৈরী করা হয়েছে। আমি নিজেও কয়েকবার ওখানে গিয়েছি। প্রয়োজনে আবার গিয়ে দেখবো। হয়তো কিউরিং কম হয়েছে একারণে ফাটল ধরতে পারে।”
মানস মন্ডল খারাপ কাঠ দেয়া ও সিড়ি সরে যাওয়ার ব্যাপারে বলেন, “এত কম টাকায় এরকম কাজ করা যায়না।”
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হক নবধারা কে বলেন, “সমস্ত কাজ করে উপজেলা প্রশাসন। আমাকে শুধু নামে উপদেষ্টা রাখা হয়েছে।তাই এ কাজের ভালো মন্দ সম্পর্কে আমি কিছুই বলতে পারবো না।”
ত্রুটিপূর্ণ এসব ঘরগুলার ব্যাপারে উপজেলা পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান রনী দত্ত জয় ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নারগিস জাহান বলেন, “সরকারের এসব কাজে আমাদেরকে জানানো হয়না। তাই এসব কাজের সুবিধাভোগিদের কোনো উপকারেই আমরা আসতে পারিনা।”
নবধারা/এমএইচ০০৭/বিএস