নীলকন্ঠ বাকচী, নবধারা বিশেষ প্রতিনিধিঃ
দেশের রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ১ নং কুশলী ইউনিয়নের আসন্ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে প্রচার প্রচারণা করে যাচ্ছেন পথে পথে ফেরি করে সিঙ্গাড়া বিক্রি করা মোঃ মজনু মোল্লা (৫৫)।
বঙ্গবন্ধুর কথা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা হ্যান্ডমাইক দিয়ে গান গেয়ে গেয়ে প্রচার করে বাইচাইকেল চালিয়ে তিনি সিঙ্গাড়া বিক্রি করেন। সরকারের প্রদেয় সুযোগ সুবিধা তিনি গরীব সাধারণ জনগণের হাতে তুলে দেওয়ার জন্যই প্রার্থী হয়েছেন বলে নবধারা কে জানান।
নিলফা গ্রামের মৃত মোঃ রুস্তম মোল্লার পুত্র মোঃ মজনু মোল্লা। ১৯৯২ সাল হতে টুঙ্গিপাড়ার পথে পথে ফেরি করে সিঙ্গাড়া বিক্রি করছেন। তিনি ৩ পুত্র ও ১ কন্যা সন্তানের জনক। নবম শ্রেনীতে পড়ার সময় অর্থাভাবে তার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। তারপর হতেই বঙ্গবন্ধুর হত্যার করুণ কাহিনী গানের মধ্যে দিয়ে তুলে ধরে সিঙ্গাড়া বিক্রি করে যাচ্ছেন। এসব গানের কথা তিনি নিজেই লিখে নিজের কন্ঠে গেয়ে থাকেন।বাইসাইকেলে করে বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে ঘুরে এখন প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ সিঙ্গাড়া বিক্রি করেন মজনু মোল্লা।
কুশলী গ্রামের আমিনুল ইসলাম বলেন, তিনি দুইবার ইউপি নির্বাচনে সদস্য পদে নির্বাচন করেছেন। সম্ভবত ১ ভোট করে পেয়েছিলেন। চেয়ারম্যান প্রার্থী হলে তিনি তেমন ভোট পাবেন না।
নিলফা বাজারের মিজানুর রহমান বলেন, ভোট তো অনেক কেই দিলাম, কি লাভ হলো? বর্তমান চেয়াম্যান সাহেব তো ঢাকায় বাসা। সারামাস সেখানেই পড়ে থাকেন। জণগনের খোজ নেবার সময় তার নেই। এবার একবার এই গরীব মজনু ভাইকেই না হয় ভোট দিলাম। তিনি গরীব মানুষ দেখা যাক তিনি কি করেন।
মজনু মোল্লা নবধারা কে বলেন, আমি গরীব মানুষ, সারা জীবনে অনেক না খেয়ে থেকেছি। আমি চেয়ারম্যান হলে গরীবের মাল বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দেবো। কোন প্রকার লুটপাট দুর্নীতি করবো না। চেয়ারম্যান এর কাজ করবার পাশাপাশি আমি সিঙ্গাড়া বিক্রি করে যাবো।
তিনি আরো বলেন, আমি মুজিব ভক্ত মানুষ। জাতির পিতার আদর্শ বাস্তবায়ন ও সোনার বাংলা গড়তে আমি কাজ করবো।
One thought on "টুঙ্গিপাড়ার পথে পথে সিঙ্গাড়া ফেরিওয়ালা মজনু এবার ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী"