মোঃ সাব্বির আহম্মেদ (জেলা প্রতিনিধি) পিরোজপুরঃ
পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছাগল চুরি করে ভূরিভোজের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে।
বুধবার চুরি হওয়া ছাগল মালিক আব্দুল লায়েক ফরাজী বাদী হয়ে পিরোজপুর জেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৪ কর্মচারী ও অজ্ঞাত ১০/১২ জনকে আসামী করে ওই মামলাটি দায়ের করেন।
আরো পড়ুনঃ
মামলার নামীয় আসামীরা হলেন, ওই হাসপাতালের কর্মচারী মো. শাহিন খান (৩২), মো. চমন খান (২৫), মো. পলাশ খান (৩৩) ও মো. বাশার শেখ (৪৫)।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ নভেম্বর দরিদ্র চা দোকানদার আব্দুল লায়েক ফরাজীর একটি ছাগল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মধ্যে গেলে আসামীরা তা ধরে নিয়ে জবাই করেন। পরে তা হাসপাতালের রান্না ঘরে রান্না করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মিলে ভূরিভোজ করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, এ বিষয়ে থানায় মামলার জন্য আবেদন করলে থানা তা এজাহারভুক্ত না করে মিমাংসার আশ্বাস দিয়ে কালক্ষেপন করেন।
ভুক্তভোগী লায়েক ফরাজী বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মধ্য থেকে তার চুরি হয়ে যাওয়া ছাগলটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিচ্ছন্নতা কর্মী শেখ বাশারসহ ৪ জনে আটক করে জবাই করে। পরে স্থানীয় ঋষির (চামড়া ক্রেতা) কাছ থেকে তার চামড়া উদ্ধার করা হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিচ্ছন্নতা কর্মী ওই ছাগলটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ভূরিভোজ করেছেন বলে তাকে তথ্য দেন।
এ বিষয়ে থানায় মামলার জন্য আবেদন করলেও থানা তা এজাহার হিসাবে নেয়নি। আদালতে মামলার মাধ্যমে ভুক্তভোগী ন্যায় বিচার পাবেন বলে মনে করেন।
উল্লেখ্য, গত ১৯ নভেম্বর চুরি করা একটি ছাগলের মাংস দিয়ে ভূরিভোজ করেন নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ অন্যান্য ডাক্তার এবং কর্মচারীরা। বিষয়টি পরবর্তীতে উপজেলাব্যাপী ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়।
উক্ত ঘটনার পরে চুরি যাওয়া ছাগলের মালিক উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নাজিরপুর থানায় পৃথকভাবে অভিযোগও দেন।