প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজ নির্বাচনী এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি ও সাবেক সিনিয়র সচিব মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার বলেছেন, বর্তমান সরকারের আমলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, যোগাযোগসহ দেশের সর্বক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। সরকারের এ সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড দলীয় নেতা কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশী বেশী করে প্রচার করতে হবে। যাতে করে দেশের জনগণ নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও সরকার গঠনের সুযোগ করে দেয়।
আজ রবিবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে কৃষকলীগ আয়োজিত ‘আবারও শেখ হাসিনা’ শীর্ষক সোশ্যাল মিডিয়া প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ কৃষকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ, কোটালীপাড়া উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি মাহফুজ হাসনাত কামরুল, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিএম মাহমুদুল হক বক্তব্য রাখেন।
কৃষকলীগের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম চত্ত্বরে ফলদ গাছের চারা রোপণের মাধ্যমে কৃষক লীগের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
এরপর তিনি টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পুবের বিলে বাস্তবায়িত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এ সময় ভাসমান বেডে সবজি চাষ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. বিজয় কৃষ্ণ বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আঃ কাদের সরদার, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ জামাল উদ্দিন, কোটালীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও স্থানীয় কৃষকগণ তার সাথে ছিলেন।
মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার বলেন,‘দেশের এক ইঞ্চি জমিও আমরা অনাবাদি রাখবো না’, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই ঘোষনা সারাদেশে যাদুর মতো কাজ করেছে। সাথে সাথে দেশের আপামর জনসাধারণ তখন যার যার নিজের অনাবাদি জমি আবাদ করা শুরু করলো। শুধু টুঙ্গিপাড়ার পুবের বিলই নয়, কোটালীপাড়া উপজেলার বিভিন্ন বিলের ৩০/৪০ বছরের অনাবাদি জমিতে এখন আবাদ হচ্ছে। শুধু ধান চাষই নয়, এ সকল জমিতে এখন ডালি ও গোড়া পদ্ধতিতে সবজি চাষ করা হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে মাছ চাষ হচ্ছে। একই জমিতে এখন বছরের ৪ধরণের চাষ হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই পদ্ধতি সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য কৃষি বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন।