প্রজনন মৌসুমে নিষিদ্ধ সময়ে সুন্দরবনে অবৈধভাবে প্রবেশ করে মাছ ও শিলা কাঁকড়া ধরার অপরাধে ২৬ জেলেকে আটক করেছে বনরক্ষীরা। পৃথক অভিযানে আটক জেলেদের কাছ থেকে ১৫ মণ কাঁকড়া, চারটি ফিশিং ট্রলার, চারটি নৌকা, জাল, কাঁকড়া ধরা চাই সহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ করা হয়েছে। আটককৃত জেলেদের বাড়ী বাগেরহাট, খুলনা ও বরগুনা জেলার বিভিন্ন উপজেলায়।
সুন্দরবন বিভাগ জানায়, মঙ্গলবার (২২আগস্ট) বিকেল পৌনে চারটার দিকে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের শ্যালার চর টহল ফাঁড়ির নীলবাড়িয়া খাল থেকে চারটি নৌকায় থাকা ২৪ ক্যারেট (১৫ মন) জ্যান্ত শিলা কাঁকড়াসহ ১২ জেলেকে আটক করা হয়। এর আগে সকাল ৮টার দিকে সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের আমবাড়িয়া খালে মাছ ধরার সময় চারটি ট্রলার সহ ১৪ জেলেকে আটক করেন বনরক্ষীরা।
পৃথক এই দুটি অভিযান পরিচালনাকারী সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) শেখ মাহবুব হাসান জানান, প্রজনন মৌসুমের কারনে গত ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিন মাসের জন্য সুন্দরবনে সব ধরণের সম্পদ আহরণ ও পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা চলমান রয়েছে। নিষিদ্ধ এই সময়ে জেলে নামধারী অসাধু ব্যক্তিরা গোপনে সুন্দরবনে অবৈধভাবে প্রবেশ করে মাছ ও কাঁকড়া আহরণ করছিল। অভিযান চালিয়ে পৃথক দুটি স্থান থেকে ২৬ জেলেকে আটক করতে সক্ষম হই। জেলেদের নৌকা থেকে ১৫ মন জ্যান্ত শিলা কাঁকড়া সুন্দরবনের নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে।
এছাড়া পৃথক অভিযানে আটক ২৬ জেলের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটককৃত জেলেদের বাড়ী বাগেরহাট, খুলনা ও বরগুনা জেলার বিভিন্ন উপজেলায়। তবে মোবাইল ফোনে তাদের নাম জানাতে পারেননি এই কর্মকর্তা।