বাগেরহাটের চিতলমারীতে ভাইরাসের কারনে আশঙ্কাজনক হারে মরে যাচ্ছে ঘেরের বাগদা চিংড়ি । এমন বিপর্যয়ে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছেন চিংড়ি চাষিরা। চিংড়ি মরার কারন হিসেবে হোয়াইট স্পট ও রেড ভাইরাসকে দায়ী করছেন এখান কার চিড়ি চাষের সাথে যুক্ত সংশ্লিষ্ট চাষিরা
তবে উপজেলা মৎস্য বিভাগ জানিয়েছেন,আক্রান্ত ঘের থেকে চিংড়ির নমুনা সংগ্র করে কী কারনে চিংড়ি মরে যাচ্ছে তা বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।চিংড়ি চাষি শমীর হালদার, গণমাধ্যম কর্মী শেখর ভক্ত,মানিক মন্ডল, হিমাংশু,নিষিকান্ত অধিকারী জানান, তারা ব্যাংক ,এনজিও ও দাদন ব্যাবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা এনে ঘুরে দাড়াবারচেষ্টায় চিংড়ি চাষে তা ব্যায় করছেন । কিন্তু হঠাৎ করে চিংড়িতে মড়ক লাগায় মরার উপর খড়ার ঘা হয়েছে চাষিদের।বাগদা চিংড়ি উৎপাদনের ভরা মৌসুমে ঘেরে চিংড়ি মারা যাওয়ায় লোকশানের মুখে পড়ছেন তারা। উপজেলার কালশিরা, শ্রীরামপুর, রায় গ্রাম, খিলিগাতীর অধিকাংশ ঘেরের বাগদা চিংড়ি ভাইরাসে মারা গেছে
বলে জানান এসকলক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শেখ আসাদ উলাøহ জানান, অধিকাংশ ঘের জৈব নিরাপত্তা বজায় না রাখা,অধিক বৃষ্টি ও পানিতে খনিজ লবনের পরিমান কমে যাওয়ার কারনে মাছে ভাইরাস লাগতে পারে। এছাড়া চাষিরা ভাইরাস মুক্ত করণের যে সব পদ্ধিতি আছে তা প্রয়োগ না করে গতানুগতিক ভাবে ঘের প্রস্তুত করে চিংড়ি ছাড়েন। তিনি চিংড়ি পোনা ছাড়ার আগে পোনা ভাইরাসমুক্ত কিনা পরীক্ষা করে পোনা ছাড়তে ও চিংড়ি চাষিদের ঘের প্রস্তুত ও পোনা ছাড়ার সঠিক পদ্ধতিব্যাবহারের পরামর্শ দেন এই কর্মকর্তা।