প্রতিবছর ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনের নদীতে মাছের প্রজনন মৌসুম চলে। এই তিন মাস সুন্দরবনে সব ধরণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। অভয়ারণ্য এলাকাগুলোতে সারা বছরই জেলে-বাওয়ালিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকে। কিন্তু জেলেদের একটি অংশ কোনো নিষেধাজ্ঞাই মানে না। জেলেরা বনের খালে বিষ দিয়ে মাছ ধরে নিয়ে যায়। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি ও কিছু নেতার মদদ রয়েছে এসব জেলের পেছনে। প্রতিদিনই স্থানীয় মৎস্য আড়তে এসব মাছ বিক্রি হচ্ছে।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মোংলা থানা চত্বরে থানা পুলিশের আয়োজনে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দীন’র সভাপতিত্বে উপজেলার সুন্দরবন সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী, স্থানীয় সুধী সমাজ ও সাংবাদিকসহ অন্যান্য পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) জয়দেব চৌধুরী এসব কথা বলেন।
এসময় বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক, মোংলা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, মোংলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনীল কুমার বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম হোসেন, মোংলা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপঙ্কর দাস, সহকারী পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষার, রামপাল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম আশরাফুল আলম, মোংলা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ, আত্মসমর্পণকৃত জলদস্যু, সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল জেলে, মৌয়াল, পর্যটক বহনকারী বিভিন্ন জলযানের মালিক/চালক, বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিক এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা এ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।